• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

ষোড়শ সংশোধনী যতবার বাতিল হবে, ততবারই তা সংসদে পাস হবে : অর্থমন্ত্রী

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৪ আগস্ট ২০১৭, ১৮:১৯

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আদালত যতবার বাতিল করবে সংসদে ততবারই নতুন করে এই সংশোধনী পাস হবে। বললেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

শুক্রবার দুপুরে সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিচারপতিদের চাকরি দেয় সংসদ, সুতরাং তাদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতেই থাকা উচিত। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ‘এটা আমরা আবারো এসেমব্লিতে পাশ করবো। এই কনস্টিটিউশনাল এমেন্ডমেন্ড আবারো পাশ করবো এবং অনবরত করতেই থাকবো, দেখি জুডিশিয়ারি কতদূর যায়। বিকজ জুডিশিয়ারি পজিশন আমার মতে আনটেরিবল।'

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির সই এর পর মঙ্গলবার বিচারপতি অপসারণ সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পুর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। এই রায় ঘোষণার পর এই প্রথম সরকারের কোনো মন্ত্রীর কাছ থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেল।

এর আগে ১ জুন সুপ্রিমকোর্টের বিচারকদের অপসারণ-সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শেষ হয়। শুনানি শুরু হওয়ার ১১তম দিনের শেষে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখেন।

বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি আবদুল ওয়াহাব মিঞা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।

ষোড়শ সংশোধনী বাতিল প্রসঙ্গে মোট ১০ জন অ্যামিকাস কিউরি আদালতে মতামত দেন। যার মধ্যে নয়জনই ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পক্ষে মতামত দেন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের বিধানটি তুলে দিয়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস হয়। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ৯৬ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন এনে বিচারকের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে পুনরায় ফিরিয়ে দেয়া হয়। যেটি ১৯৭২ সালের সংবিধানেও ছিল।

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh