• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ভারি বৃষ্টিতে পানির নিচে খুলনা নগরী

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট, খুলনা

  ২৪ জুলাই ২০১৭, ১৫:৪৬

গেলো কয়েকদিন ধরে খুলনায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। কখনো হালকা আবার কখনো ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

সোমবার ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত টানা ৬ ঘণ্টা মুষল ধারে বৃষ্টি হয়েছে। এসময় খুলনা আবহাওয়া অফিস ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে। ফলে মহানগরীর রাস্তাঘাট ও নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে এবং বিভিন্ন এলাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ময়লা-আবর্জনা, খাল ভরাট, অবৈধ দখল ও বাঁধ দিয়ে মৎস্য চাষসহ নানা কারণে সামান্য বৃষ্টিতে নগড়জুড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে দুর্ভোগের শিকার হন নগরবাসী। পাশাপাশি ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীরা।

এদিকে বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে রিকশা ও ইজিবাইক চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

সোমবার নগরী ঘুরে দেখা যায়, অল্প বৃষ্টিতে নর্থ খাল, ব্যাংক রোড, পিটিআই মোড়, রয়্যাল মোড়, শান্তিধাম মোড়, টুটপাড়া, আহসান আহমেদ রোড, নতুন বাজার, স্যার ইকবাল রোড, কেডিএ এভিনিউ রোড, জোড়াগেট, খালিশপুর বাস্তহারা, বয়রা এলাকা, মুজগুন্নী, নেভি স্কুলের সামনে, হাউজিং বাজার, নতুন কলোনি, দৌলতপুর, খালিশপুর, বাইতিপাড়া, তালতলা, মডার্ন ফার্নিচার মোড়, পিকচার প্যালেসের মোড়, শামসুর রহমান রোড ও নিরালা এলাকার রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এসব এলাকার অনেক ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে যায়।

নগরীর ফরাজিপাড়া এলাকার চা দোকানি আব্দুর রহমান জানান, সকালে বৃষ্টির মধ্যেই তারা দোকান খোলেন। টানা বৃষ্টিতে দোকানে পানি ঢুকে গেছে।

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান আরটিভি অনলাইনকে জানান, ভৈরব নদীতে ভাটা আসলেই পানি নেমে যাবে। পানি নেমে যাওয়ার জন্য স্লুইস গেটগুলোতে সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলীরা তদারকি করছেন।

মুজগুন্নী এলাকার বাস্তহারা কলোনির বাসিন্দা ফয়সাল আহমেদ জানান, একটু বৃষ্টি হলেই কলোনির সব সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। পানি নামতে দেরি হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার আরটিভি অনলাইনকে জানান, মূলত অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ময়লা-আবর্জনা, বড় বড় খাল ভরাট, অবৈধভাবে দখল ও বাঁধ দিয়ে প্রভাবশালীদের মৎস্য চাষসহ নানা কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, গল্লামারী নর্থ খালের মুখ, কারিগরপাড়া, বাস্তহারা নবী নগর খাল, নিরালা, হরিণটানা নারকেল বাড়িয়া, ছড়িছড়া, মতিয়াখালি, ক্ষেত্রখালী, রূপসা সাহেদ আলী খালের পানি নিষ্কাশনের পয়েন্টগুলো খনন করা হয় না। অনেক খাল দখল করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কোনো মাথাব্যথা নেই। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের।

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ আশরাফুজ্জামান বলেন, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও খালগুলো অবৈধভাবে দখল হওয়ায় মূলত জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। জলাবদ্ধতা নিরসনে জনগণ ও সিটি করপোরেশনকে দায়িত্ববান এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি খালগুলো দখলমুক্ত করতে হবে।

খুলনা সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, অতি বৃষ্টির ফলে নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশন কাজ করে যাচ্ছে।

জেবি/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বৃষ্টির অভাবে দেশে মরুর উত্তাপ  
রাজশাহীতে বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে 
হাতীবান্ধায় বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়
দুপুরের মধ্যে যেসব জায়গায় ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে 
X
Fresh