যশোর হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে নবজাতক ছেলে শিশু চুরি হবার ঘটনা ঘটেছে। রোববার সকালে লেবার ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়া বাজার এলাকার সাইফুল ইসলামের স্ত্রী রূপালী বেগম (২৩) শনিবার রাত আড়াইটার দিকে এ শিশুকে জন্ম দেন।
হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে কান্নাজড়িত কণ্ঠে রূপালী বেগম জানান, রোববার সকালে লেবার ওয়ার্ডে তার শাশুড়ি সখিনা বেগমের কোলে বাচ্চাটি ছিল। এ সময় অজ্ঞাতপরিচয় এক নারী এসে তাদের বলেন, তার কোনো সন্তান নেই। বাচ্চাটিকে তিনি একটু কোলে নিতে চান। এরপর সখিনা বেগমের কাছ থেকে কৌশলে বাচ্চাটি কোলে নিয়ে ওই নারী পালিয়ে যান।
রূপলী বেগম আরো জানান, তিনি তার শাশুড়িকে নিষেধ করে বলেছিলেন এভাবে হাসপাতাল থেকে বাচ্চা চুরি হয়। কিন্তু তারপরও তার শিশুটি চুরি হয়ে গেছে।
এ সময় হাসপাতালে থাকা প্রেসক্লাব যশোরের কোষাধ্যক্ষ কাজী আশরাফুল আজাদ জানান, তিনি পৌনে ১১টার দিকে হাসপাতালে প্রবেশের সময় বোরকা পরিহিত এক নারীকে ছোট্ট এক বাচ্চাকে নিয়ে যেতে দেখেন। তখন মনে প্রশ্ন জেগেছিল, এত ছোট বাচ্চাকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছে? এর আধঘণ্টা পরে শিশু চুরির খবর পেয়ে তিনি লেবার ওয়ার্ডে যান।
হাসপাতালের ওই ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক রবিউল ইসলাম জানান, ওয়ার্ড থেকে শিশু চুরির অভিযোগ পেয়েছেন। সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে তারা এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবেন।
খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সুকুমার রায়। তিনি জানান, শিশু চুরির ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে। আটক মমতাজ পারভিন শহরের মোল্লাপাড়া এলাকার সাখাওয়াত হোসেনের স্ত্রী। তিনি ওই ওয়ার্ডে ঘোরাঘুরি করছিলেন।
তবে আটক মমতাজ দাবি করেন, তিনি তার স্বামীর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসেছিলেন। তিনি আর কিছুই জানেন না।
চুরি হওয়া নবজাতকের মা রূপালী বেগম অভিযোগ করেছেন, বাচ্চা চুরির ঘটনায় যারা জড়িত তাদের সাথে হাসপাতালের নার্সদের যোগাযোগ আছে। নার্সদের মাধ্যমে খবর পেয়ে ওই নারী তার সন্তানকে চুরি করে নিয়ে গেছে।
এসএস
মন্তব্য করুন