• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বান্দরবানে আসছে না পর্যটক, বিপাকে ব্যবসায়ীরা (ভিডিও)

মো. শাফায়েত হোসেন, বান্দরবান

  ২৯ জুন ২০১৭, ১৭:০৫

পাহাড়ধস ও বন্যার কারণে ধস নেমেছে বান্দরবানের পর্যটন শিল্পে। ফের ধসের আতঙ্কে এখন পর্যটক শূণ্য বান্দরবান। প্রত্যেক ঈদে পর্যটক সামলাতে হিমশিম খেলেও এবার এখানকার আবাসিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউজগুলোর সঙ্গে জড়িতরা পার করছেন অলস সময়।

অন্যান্য বছরগুলোতে ঈদের ১৫ দিন আগ থেকেই সব রুম বুকিং হয়ে গেলেও এবার তেমনটি ঘটেনি। পর্যটকদের আশানুরূপ সাড়া না মেলায় হতাশা দেখা দিয়েছে এ খাতের ব্যবসায়ীদের মধ্যে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ঘিরে বান্দরবানে বিকাশ ঘটেছে পর্যটন শিল্পের। সারাবছর আনাগোনা থাকলেও মূলত ঈদ মৌসুমেই পর্যটকদের চাপ সবচেয়ে বেশি থাকে। পর্যটকদের উপর নির্ভর করেই চলে, বান্দরবানের অর্থনীতির চাকা। তবে এবার পর্যটক না আসায় অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

হলিদে ইন রির্সোট এর মালিক মো. জাকির বলেন, ঈদের ছুটিতে পর্যটকের আশানুরূপ সাড়া মিলেনি এবার বান্দরবানে। আবাসিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট এবং গেস্টহাউজে আশানুরূপ বুকিং হয়নি। সবগুলো হোটেলেই রুম ফাঁকা। যা কিছু বুকিং ছিল তাও বাতিল করা হয়েছে। অথচ বিগত বছরগুলোতে ঈদের আগেই সবগুলো রুম বুকিং হয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, গেলো তিনমাস অনেকটা পর্যটকশূন্য থাকায় এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। ঈদে পর্যটন ব্যবসা জমে উঠবে এমন আশায় বুক বেঁধেছিল অনেকেই। তাদের সব আশা নিরাশ হয়ে গেছে।

হোটেল-মোটেল মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি অতি বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটলেও বান্দরবানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম। তবে পর্যটকদের মনে আতঙ্ক কাজ করছে। যদিও বান্দরবানে পর্যটন স্পটগুলোর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। প্রতি বছর ঈদের আগে হোটেল-মোটেলের পাশাপাশি এবং অধিকাংশ গাড়ি বুকিং হয়ে যেত, কিন্তু এবার তেমনটি ঘটেনি।

জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেন, জেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোর যেসব সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো মেরামত করা হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জেলা শহরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে। পর্যটকরা যাতে নির্বিঘ্নে চলাফেরা ও ঘুরাঘুরি করতে পারে সেব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ঈদের ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দে সময় কাটাতে, অনেকেই ভিড় করছেন বিভিন্ন জেলার বিনোদন কেন্দ্রগুলোকে। ঈদের দুদিন পরেও মাদারীপুরের শকুনী লেকের পাড়ে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল, চোখে পড়ার মতো। এছাড়া স্থানীয় বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, শহীদ কানন, শিশু পার্ক, স্বাধীনতা অঙ্গন থেকে শুরু করে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ভিড় করছে নানা বয়সী মানুষ।

জয়পুরহাটের বিনোদন কেন্দ্রগুলোর অবস্থাও প্রায় একই। কখনো রোদের তাপ, আবার কখনও বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে এসব বিনোদন কেন্দ্রে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh