• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মনু নদীর বাঁধে ভাঙন, পানিবন্দি হাজারো পরিবার

চৌধুরী ভাস্কর হোম, মৌলভীবাজার

  ০৫ জুন ২০১৭, ২৩:১৯

মৌলভীবাজারের মনু নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রতিরক্ষা বাঁধের ৬টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। অপরদিকে কমলগঞ্জের ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের পুরনো ভাঙনের পাশাপাশি নতুনকরে আরো ৩টি স্থানে ভাঙনের ফলে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে।

ফলে বন্যার পানিতে কমলগঞ্জ, কুলাউড়া ও রাজনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার পরিবার। বন্যাকবলিত মানুষ নদীর বাঁধ ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। তলিয়ে গেছে ব্যাপক ফসলী জমি রাস্তাঘাট।

গেলো কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের মনু নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে রোববার রাতে রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের ভোলানগর গ্রামে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে গেছে। আর টেংরা ইউনিয়নে উজিরপুর, চাটি কোনাগাঁও, গরুর ঘাট এলাকায় মনুনদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে যায়।

এছাড়া কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাও ইউনিয়নে মিয়ার পাড়া এবং শরিফপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর এলাকায় মনুনদীর বাঁধ ভেঙে গেছে। এই ৬ স্থানে ভাঙনের ফলে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে ৪টি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাম।

বাড়ি ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। তলিয়ে গেছে ব্যাপক ফসলী জমি ও রাস্তা-ঘাট। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাঁধ এবং উঁচু স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন। এখনো মনুনদীর পানি বিপদ সীমার ১০৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি আরো বৃদ্ধি পেলে নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

অপরদিকে কমলগঞ্জ পৌরসভার আলেপুর কবরস্থান সংলগ্ন এলাকায় ১টি ও আদমপুর ইউনিয়নের কোনাগাঁও এলাকায় ২টি নদী ভাঙনের ফলে পৌরসভার আলেপুর, গোবর্ধনপুর, নরেন্দ্রপুর, খোশালপুর এলাকা ও আদমপুর ইউনিয়নের কোনাগাঁও, রানীরবাজার বাজার, দক্ষিণ তিলকপুর, মাটিয়া মসজিদ ও ঘোড়ামারাসহ ২০টি গ্রামের ৩০ হাজার লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

এছাড়া ধলাই নদীর প্রায় ১৫টি স্থান সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় আরো ভাঙ্গনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ভানুগাছ বাজারের পাশে নতুন ব্রিজ এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ফাটল থাকায় কমলগঞ্জ পৌর এলাকার ভানুগাছ বাজার হুমকির মুখে পড়েছে। তেমনি রামপাশা পৌর এলাকাও মারাত্মক ঝুঁকির মুখে রয়েছে।

নদী ভাঙনের সত্যতা নিশ্চিত করে কমলগঞ্জ পৌর মেয়র জুয়েল আহমদ বলেন, তিনি বন্য কবলিত এলাকা পরিদর্শনে রয়েছেন।

তাৎক্ষণিকভাবে দুর্গত লোকজনের মধ্যে চিড়া, গুড় বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে বলেও তিনি জানান।


এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh