• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

১৩ বছর পরও অক্ষত কোরআনে হাফেজের মরদেহ (অডিও)

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট, কুমিল্লা

  ১৬ মে ২০১৭, ২০:৫৯

১৩ বছর আগে দাফন করা এক কোরআনে হাফেজের মরদেহ এখনো অক্ষত রয়েছে। কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার মৈশাতুয়া ইউনিয়নের খনাতুয়া গ্রামে এ ‘অলৌকিক ঘটনা’ ঘটেছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শাহ্‌ আলম জানান , ২০০৪ সালে খনাতুয়া গ্রামের মৃত মোখলেছুর রহমানের ছোট ছেলে কোরআনে হাফেজ মোহাম্মদ মাসুদ মাত্র তের বছর বয়সে কিডনী রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ওই সময় চারদিকে বন্যার পানি বেশি থাকায় তাকে গ্রামের বিরার পুকুর পাড়ে দাফন করা হয়। দাফনের দীর্ঘ ১৩ বছর পর গেলো রোববার পুকুর পাড়ের মাটি ভেঙ্গে মাসুদের লাশটি পুকুরে পড়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা তার মারদেহ দেখতে পেয়ে মরদেহটি পানি থেকে উঠায়। ১৩ বছর পরও কাপনের কাপড় একেবারে অক্ষত অবস্থায় দেখে স্থানীয়রা এটিকে ‘অলৌকিক ঘটনা’ হিসেবে ঘোষণা দেন। পরে এলাকাবাসী তার পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহটি পুনরায় দাফন করে। মোহাম্মদ মাসুদ পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন।

এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর দূরদূরান্ত থেকে মানুষ কোরআনে হাফেজ মাসুদের কবর দেখতে খনাতুয়া গ্রামে ভিড় করছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকেও মরদেহের ছবি পোষ্ট করে অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করছেন।

শাহ্‌ আলম বলেন, আমরা মরদেহটি পুকুরে পড়ে থাকতে দেখে উঠিয়ে পুনরায় দাফন করি। ১৩ বছর পরও কাফনের কাপড় একেবারে অক্ষত দেখে আমরা সকলেই অবাক হই।

মৈশাতুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আমি ঘটনা শুনেছি। এটি সত্যি একটি অলৌকিক ঘটনা।

এ বিষয়ে জাতীয় ইমাম সমাজের মহাসচিব মাওলানা মো. মিনহাজ উদ্দিন আহমেদ জানান, কোরআনে বলা আছে আল্লাহপাকের দ্বীনের সহযোগীতা করে যারা মারা গেছেন তাদের মৃত বলা যায় না। তাদের কে আল্লাহ পাক জীবিত রাখেন। তবে এটা দুনিয়ার জীবন না। দেহ ত্যাগ করলেও আল্লাহ তাআলার বিশেষ কুদরতে তারা জীবত থাকেন।

তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি অলৌকিক হলেও। কোরআনের ব্যাখা অনুযায়ী এ বিষয়গুলো অলৌকিক নয়।

ওয়াই/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh