• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

স্কুলছাত্র খুনের ঘটনায় মুশফিকের বাবার বিরুদ্ধে মামলা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৬ মে ২০১৭, ১৯:৪৬

বগুড়ায় স্কুলছাত্র মাসুক ফেরদৌস খুন হবার ঘটনায় ক্রিকেটার মুশফিকুর রহীমের বাবা মাহবুব হামিদসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

মাসুকের বাবা জাসদ নেতা অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক এমদাদ বাদী হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বগুড়া সদর থানায় এ মামলা করেন।

এদিকে থানায় দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, মাহবুব হামিদ তারা (৫৫) ও তার ছোট ভাই স্থানীয় ১৭ ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মেজবাহুল হামিদ (৪৫) সঙ্গে নিহত মাসুকের বাবা জাসদ নেতা অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক এমদাদের পারিবারিক শত্রুতাসহ স্থানীয় মাটিডালি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল। এজন্য অভিযুক্তরা আমাকে এবং আমার পরিবারের জানমালের ক্ষতি করার পরিকল্পনা করতে থাকে। এ অবস্থায় চলাকালে আমার ছেলে মাসুক ফেরদৌস মাসুককে বাসা থেকে গেলো শনিবার রাতে প্রতিবেশী বেলাল হোসেন ফকিরের বাড়িতে তার ছেলে নাইম দিয়ে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রধান আসামি মাহবুব হামিদ তারা ও অপর আসামি লালমিয়া মাসুককে জাপটে ধরে এবং ফয়সল মাসুকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিছন থেকে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে আঘাত করে। এ সময় মাসুক মাটিতে পড়ে গেলে হত্যাকারীরা উল্লাস করে চলে যায়। এই আঘাতের কারণেই মাসুকের মৃত্যু হয়।

বগুড়া সদর থানার ওসি এমদাদুল হক জানান, জাসদ নেতার ছেলে খুনের ঘটনায় মঙ্গলবার ১৬ জনের বিরুদ্ধে নিহতের পিতা বাদী হয়ে যে অভিযোগ দায়ের করেছেন, সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। তবে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে কি না জানতে চাইলে ওসি আরটিভি অনলাইনকে বলেন, তদন্ত করার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মাসুকের বাবা অ্যাডভোকেট এমদাদ জানান, মাটিডালি উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অবৈধ পন্থায় করা এবং ওই স্কুলের মধ্যে মুশফিকুর রহিমের পৃষ্ঠপোষকতায় আর একটি ব্যক্তিগত বিদ্যালয় স্থাপন করে মাহবুব হামিদ তারা ব্যক্তিগত ভাবে অবৈধ অর্থ উপার্জন করছিলেন। সেই বিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে আমি প্রতিবাদ করি। এরপর বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি মাহবুব হামিদ তারার নেতৃত্বে এলাকাবাসীর উপর দু’দফা হামলা চালায়।

তিনি বলেন, হামলার ঘটনার পর বগুড়া সদর থানার ওসি এমদাদ হোসেন দু’পক্ষকেই থানায় ডেকে নেয় এবং কারো কোন অভিযোগ থাকলে তা থানা কিংবা আদালতে মীমাংসা করতে বলেন। দু’পক্ষই এতে রাজি হয়। এ ঘটনার কয়েকদিন পরেই আমার ছেলে মাসুককে হত্যা করা হলো। মাসুক কে হত্যা করে আমাকে মানসিক ভাবে দুর্বল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই হত্যাকাণ্ডের মাহবুব হামিদ তারা জড়িত। আমি এর বিচার চাই।

মাসুকের মা স্কুল শিক্ষিকা ফিরোজা বেগম কেয়া বলেন, বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল এলাকার বাসিন্দা বেলালের ছেলে নাঈম। তারপর মাসুক খুন হল। আমার বড় ছেলে মিরাজকেও ডাকতে এসেছিল। মিরাজ বাসায় ছিল না। তাই সে বেঁচে গেছে।

তবে অভিযোগ প্রসঙ্গে মুশফিকের বাবা মাহবুব হামিদ তারা বলেন, কোন হত্যাকাণ্ড হলে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করা হয়। এ হত্যাকাণ্ড বিষয়েও আমাকে নিয়ে মন্তব্য করা হচ্ছে এবং অভিযোগ দেয়া হয়েছে। একজন শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। আমি অপরাধী হলে তাহলে আমারও বিচার হবে। কিন্তু মিথ্যা অপবাদ দেয়া ঠিক না। আশা করছি পুলিশ সঠিক হত্যাকারীদের চিহ্নিত করবে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh