• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

সড়ক কর্মকর্তার পাহাড় সমান সম্পদ, খোঁজে দুদক (ভিডিও)

ফেরদৌস খান ইমন, আরটিভি অনলাইন, বরগুনা উত্তর

  ১৪ মে ২০১৭, ১৫:৫১

বরগুনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ ও অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর পাশাপাশি সম্প্রতি এক ইজারাদারের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি আমলে নেয় জেলা প্রশাসন। মনিরুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে দুদক।

বরগুনা জেলা সদরে যাতায়াতের জন্য বরইতলা-বাইনচটকী ঘাটের একটি মাত্র ফেরিই ভরসা। এছাড়া খুলনা, যশোর, পিরোজপুর, বাগেরহাটসহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে পণ্য পরিবহন ও যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যমও এই ফেরিঘাট। অনেক সময় ফেরি না পেয়ে শিক্ষার্থীরা নৌকায় নদী পার হতে বাধ্য হয়। ঘাটের সংযোগ সড়ক সামান্য জোয়ারের পানিতেই ডুবে যাওয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। তারা বলছেন, এত দুর্ভোগের পেছনে রয়েছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারি প্রকৌশলী।

সম্প্রতি ঘাটের ইজারাদারের কাছে ফেরি চলাচলের জন্য প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন মনিরুল ইসলাম। টাকা পরিশোধ করলে চালু হয় ফেরী।

প্রশাসনের এমন দায়িত্বশীল ব্যক্তির বেপরোয়া আচরণে, নিরুপায় হয়ে ডিসির কাছে অভিযোগ জানান ইজারাদার।

বরইতলা-বাইনচকটী ফেরিঘাটের ইজারাদার মো. ফয়সাল জানান, টেন্ডারের সব টাকা আত্মসাৎ করেছে উপ-সহকারি প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম। আর ইজারাদাররা কাজ করতে চাইলেও মনিরুলের জন্য কাজ করা যায় না।

এদিকে, এরই মধ্যে মনিরুলের অনিয়ম দুর্নীতি আর অবৈধ সম্পদের খোঁজে নেমেছে দুদক।

জেলার দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা ও উপসহকারি পরিচালক নীল কমল পাল জানান, কাজ না করে টাকা আত্মসাতসহ নামে বেনামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তার কাছে এসেছে। এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।

সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে সম্পদের পাহাড় গড়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

দুদক টিম তদন্তে নামলে ফেরিঘাটের কাজ দ্রুত শেষ করতে এলাকায় যায় মনিরুল। কিন্তু দীর্ঘদিনের ক্ষোভের কারণে স্থানীয়দের রোষানলে পড়তে হয় তাকে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh