ময়নাতদন্তে পুলিশ কর্মকর্তা সরফরাজের হত্যার আলামত পাওয়া যায়নি
রাজশাহী মহানগর পুলিশের সহকারি কমিশনার (এসি) সাব্বির আহম্মেদ সরফরাজের মরদেহের ময়নাতদন্ত হত্যার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
রোববার সকালে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে সরফরাজের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়।
সরফরাজের মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডা. মুনসুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যর কমিটি করা হয়। অপর দুই সদস্য হলেন রামেকের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা.এনামুল হক ও ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এমদাদুল রহমান।
ডা. মুনসুর রহমান বলেন, তার পুরো শরীর পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হত্যার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তার রক্ত ও ভিসেরা সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলোর প্রতিবেদন পাওয়া গেলে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এ হত্যাকাণ্ডে নিহতের বাবা নগর পুলিশের সাবেক পুলিশ কমিশনার ওবায়দুল্লাহ রাজপাড়া থানায় একটি অপমত্যুর মামলা করেন। রোববার বিকেলে পুলিশ লাইন মাঠে জানাযা শেষে নগরীর টিকাপাড়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হতে পারে।
শনিবার সকালে এসি সরফরাজ অফিসার্স মেসে ঘুম থেকে না জাগায় তাকে ডাকাডাকি করা হয়। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে তার মরদেহ ঝুলতে দেখা যায়।
সরফরাজের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে। তার বাবা এম ওবায়দুল্লাহ ছিলেন পুলিশের সাবেক ডিআইজি। তবে সরফরাজের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ হলেও তিনি দিনাজপুর জেলা কোটায় পুলিশে চাকরি নেন।
এসএস
মন্তব্য করুন