• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পুলিশ হত্যার আসামি জামায়াত নেতার সংবর্ধনা নিলেন আওয়ামী এমপি (ভিডিও)

ফেরদৌস জুয়েল, গাইবান্ধা

  ২৭ এপ্রিল ২০১৭, ১৯:৩৯

৪ পুলিশ হত্যার চার্জশিটভুক্ত আসামি ও জামায়াত নেতার সংবর্ধনা নিয়েছেন গাইবান্ধা-১ আসনের নবনির্বাচিত আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ গোলাম মোস্তফা আহমেদ। পেশায় পোল্ট্রি ব্যবসায়ী ওই জামায়াত নেতার জামাল হোসেনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছিল।

বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার রামভদ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই সংবর্ধনা আয়োজন করা হয়। এসময় মঞ্চে সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফার পেছনে আলোচিত নাশকতাসহ ৪ পুলিশ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আবুল কাশেমকেও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এতে সভাপতিত্ব করেন সর্বানন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৬নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি আফছার আলী এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল্যাহ আল মেহেদী রাসেল। সর্বানন্দ ইউনিয়নের কদমতলা এলাকাবাসি এই গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম, কৃষক লীগ সভাপতি আব্দুল রহমান মাষ্টার, স্বেচ্ছাসেবক লীগ যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ্ আল মেহেদী রাসেল প্রমুখ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এমপি গোলাম মোস্তফা আহম্মেদ বলেন, আমি সকল রাজনৈতিক ব্যক্তি, শিক্ষক, ছাত্র সমাজ তথা সুন্দরগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে এই এলাকার উন্নয়ন করতে চাই।

অনুসন্ধানে জানা যায়, জামাল হোসেন জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম পৃষ্টপোষক ও অর্থ যোগানদাতা। তিনি সুন্দরগঞ্জের একাধিক নাশকতা ও পুলিশ হত্যা মামলার আসামি হাজী ফরিদ উদ্দিনের ছেলে। জামায়াত নেতা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে ২০১৩ সালের ২৮ শে ফেব্রুয়ারী জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় সন্ত্রাসী তাণ্ডব চালায়।

জানা গেছে, তারা বামনডাঙ্গা রেলস্টেশন, বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ অফিস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এছাড়া সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ৪ পুলিশকে হত্যা করে এবং তদন্ত কেন্দ্রটি আগুনে ভস্মিভূত করে। গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আয়োজক জামাল হোসেন, তার পিতা হাজী ফরিদ উদ্দিন ও আবুল কাশেম এই হত্যা মামলার চার্জশীটভূক্ত অন্যতম আসামি।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাংসদ গোলাম মোস্তফা আহমেদ। তিনি আরটিভি অনলাইনকে জানান, 'সংবর্ধনাটা যেখানে হয়েছে, সেটা আমার বাসা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে। স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ওই প্রোগ্রামের আয়োজন করেছিল। সেখানে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সবাই ছিল। এর মধ্যে জামায়াতের লোক কীভাবে আসলো, আমি জানি না। যাকে নিয়ে অভিযোগ, তাকে আমিও চিনিও না।

মোস্তফা আহমেদ আরো বলেন, রাজনীতি করার কারণে কিছু প্রতিপক্ষ তৈরী হয়েছে। তারাই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ কাজ করে থাকতে পারে।

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh