• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

রাস্তাঘাট ভেঙে বিধ্বস্ত শ্রীমঙ্গল

চৌধুরী ভাস্কর হোম ও অরবিন্দ দেব, মৌলভীবাজার

  ২৭ এপ্রিল ২০১৭, ১৭:২৭

শ্রীমঙ্গলের জনপদ থেকে পাহাড়ী ঢলের পানি সরে গেছে। কিন্তু শ্রীমঙ্গলকে দিয়ে গেছে এক বিধ্বস্ত এলাকার রূপ। সম্প্রতি ভারি বর্ষণ ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে নিমজ্জিত হয় শ্রীমঙ্গল শহরসহ উপজেলার কয়েক হাজার বাড়িঘর।

ঘরের ভিতরে পানি প্রবেশ করে নষ্ট হয় সাধারণ জনগণের কোটি কোট টাকা মুল্যের বিভিন্ন মুল্যবান সামগ্রী। ক্ষতিগ্রস্ত হয় কাঁচা ঘরবাড়ি। আর পানি কমে যাবার পর দেখা যায় শ্রীমঙ্গলের সদর ইউনিয়নসহ ৯টি ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন দেখা দেয়।

এ অবস্থায় শ্রীমঙ্গল যেন কোনো বিধ্বস্ত নগরী। রাস্তার ভগ্নদশা স্থানীয় মানুষের চলা ফেরায় মারাত্মক আকারে বাঁধা সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে।

এ ব্যপারে শ্রীমঙ্গল পূর্ব শ্রীমঙ্গল এলাকার বাসিন্দা ডা: আশিষ চক্রবর্তী জানান, বন্যায় ঘরের ভিতরে কোমর সমান পানি হয়। এতে ঘরের ফ্রিজ, কম্পিউটার, টেবিল ফ্যান, আইপিএসসহ কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল নষ্ট হয়ে যায়।

তিনি জানান, এ অবস্থা শুধু তার নয় এলাকার সবক'টি বাসা বাড়িতে। এর প্রধান প্রতিবন্ধকতা হিসেবে তিনি জানান, তাদের এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে চলা বুড়বুড়িয়া ছড়ার নাব্যতা কমে গেছে এবং দুই পাড় দখল হয়ে সরু হয়ে গেছে।

এ সময় আরো এক ভুক্তভোগী সুশান্ত দাসগুপ্ত ভজু জানান, অপরিকল্পিত বাড়িঘর নির্মাণও এর আরো একটি কারণ। এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল সদর ইউপি চেয়ারম্যান ভানুলাল রায় জানান, গেল ৫-৬ দিনের ভারি বর্ষণে তার ইউনিয়নের সব মাটির কাজ পানিতে বাসিয়ে নিয়ে গেছে। চার দিক থেকে জনগনের চাপ আসছে। কিন্তু বরাদ্ধ না আসলে কোন কাজ করাই সম্ভব হবে না। এরই মধ্যে তিনি অধিক জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা নিজের টাকায় মেরামত করছেন।

এদিকে, সরজমিনে দেখা যায় সবুজবাগ থেকে শ্রীমঙ্গল বালুচর এলাকায় মাহমুদ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাবার রাস্তাটির প্রায় ৫০ ফুট সম্পুন্নরূপে ভেঙ্গে গেছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারছেন না।

এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাশ্বেরুল ইসলাম বেশ কিছু রাস্তাঘাট ক্ষতি হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আপাতত ক্ষতিগস্থ পরিবারে চাল ও নগদ টাকা দিচ্ছেন। তিনি জানান, শ্রীমঙ্গল উপজেলার ক্ষতিগ্রস্তের জন্য তিনি ১৯ টন চাল ও নগদ ৯৭ হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন। যার ৫০ ভাগ এরই মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh