‘আজব রোগ’, একে অন্যকে ধরে কান্নাকাটি
খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার তৈমাতাং গ্রামে হঠাৎ করেই দেখা দিয়েছে আজব রোগ। সোমবার সকাল থেকেই ওই এলাকার মানুষেরা একে অন্যকে ধরে কাঁদছেন।
অনেকে আবার মানুষ দেখলেই পালিয়ে যাচ্ছেন। পরে এক পর্যায়ে তারা জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন।
অজ্ঞাত এ রোগে আক্রান্ত প্রায় অর্ধশতাধিক ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
তৈমাতাং এলাকার বাসিন্দা ধনেন্দ্র ত্রিপুরা জানান, সোমবার ওই গ্রামের কয়েকজন হঠাৎ করে একে পর এক পাগলামি শুরু করে। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্না-কাটিসহ এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
রোগীদের কয়েকজন স্বজন জানান, সোমবার তৈমাতাং গ্রামে দেবতা পুকুরে কয়েকজন গোসল করতে নামেন। গোসল শেষ করে পুকুর থেকে ওঠে আসলে তারা মাথা ঘুরে পড়ে যান।
পরে তারা পাগলামি করতে থাকেন এবং ধীরে ধীরে এটি ওই এলাকার মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
তবে অজ্ঞাত এ রোগকে গণমনস্তাত্ত্বিক রোগ বলে উল্লেখ করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার নয়ন ময় ত্রিপুরা জানান, ভর্তি হওয়া রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠবে। এতে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই।
আক্রান্ত কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। এরা হলেন কবিতা ত্রিপুরা (২৮), বহেন ত্রিপুরা (১৫) বহি বালা ত্রিপুরা (১৮), দীকা ত্রিপুরা (১৬), মায়া বালা ত্রিপুরা (২৫), কৃষ্ণ বালা ত্রিপুরা (২২),খাজ বালা ত্রিপুরা (১৮), বানু বিথি ত্রিপুরা (৩০), দিনু ত্রিপুরা (২১), কলইমা ত্রিপুরা (১৭), সাগরিকা ত্রিপুরা (১০), টিপায়ন ত্রিপুরা (১১), মহন ত্রিপুরা(১৬), সনদি রাম ত্রিপুরা (৩৫), কলোইসা ত্রিপুরা (১৬)।
এসএস
মন্তব্য করুন