ঋণের চাপে দিশেহারা হাওরাঞ্চলের কৃষকরা
আর ক’দিন পরেই বোরো ফসল ওঠার কথা ছিল কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের কৃষকদের গোলায়। কিন্তু আগাম বন্যায় হাওর অঞ্চলের বোরো ফসলের ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় ফসল নষ্ট হয়ে ফিকে হয়ে গেছে তাদের স্বপ্ন।
অনেক কষ্টে ঋণ নিয়ে বোরো আবাদ করেছিলেন কৃষকরা। ফসল হারানো সর্বশান্ত কৃষকরা ঋণ পরিশোধের চাপে এখন দিশেহারা। ঋণ শোধ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।
ঋণ পরিশোধে হালের গরু, বসত ভিটা বিক্রি করতে হবে বলে মনে করছেন ক্ষতিগ্রস্থরা। পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন কাটছে তাদের।
বন্যায় হাওরের ২৫ হাজার হেক্টর জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ত্রাণ সহায়তা ও পুনর্বাসিত করার কথা জানায় জেলা প্রশাসন।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক আজিমুদ্দিন বিশ্বাস জনানা, পানি কলে গেলে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন করা হবে। ক্ষতিগস্ত চাষীদের ত্রাণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
হাওড় এলাকার অবশিষ্ট জমি তলিয়ে যাওয়া ঠেকাতে চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন।
ক্ষতিগ্রস্থদের জরুরি ভিত্তিতে সহযোগিতা দেয়ার দাবি স্থানীয়দের।
সম্প্রতি হাওর এলাকা ঘুরে এসে সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বন্যা কবলিত কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।
এসময় তৌফিক বলেন, জেলার ছোট-বড় ৩৫ টি হাওরের ৩৩ হাজার হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর এলাকা অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন উপজেলায় অকাল বন্যায় কৃষি জমি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জেএইচ
মন্তব্য করুন