• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

ভোট শেষ, চলছে গণনা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২২ মার্চ ২০১৭, ১৬:২৯

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে উপনির্বাচনে ভোট শেষ। চলছে গণনা। বুধবার সকাল ৮টা থেকে এ ভোট শুরু হয়। চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এদিকে এ নির্বাচনে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সকালে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে দেখা যায়।

নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এদিকে ভোট সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ পরিবেশে গ্রহণ করার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ লক্ষ্যে পুরো এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

ভোট সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে ১৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ ২৩ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন।

অন্যদিকে গাইবান্ধা নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ভোটার যাতে নির্বিঘ্নে ও আনন্দমুখর পরিবেশে ভোট দিতে পারে সেজন্য নির্বাচনী এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ব্যাপক সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ৮ জন পুলিশসহ ২২ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ১০ জন পুলিশসহ ২৪ জন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতি ইউনিয়ন এলাকায় ৩টি এবং পৌরসভা এলাকায় ৫টি মোবাইল টিমসহ ৫০টি মোবাইল টিম টহল দিচ্ছে ও ১৭টি স্ট্রাইকিং ফোর্স বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে মোতায়েন করা হয়েছে।

এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় র‌্যাবের ১৭টি টিম এবং ৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটের দিন এবং এর আগে দু’দিন ও পরে একদিনসহ মোট চারদিন নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকছে।

এ নির্বাচনে ১ লাখ ৬২ হাজার ৫শ’ ৮৫ জন পুরুষ ও ১ লাখ ৭০ হাজার ৮শ’ ৪১ জন মোট ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪শ’ ২৬ জন ভোটার রয়েছেন। ১শ’ ৯টি কেন্দ্রের ৬শ’ ৩৭টি বুথে ভোট নেয়া হবে। ১শ’ ৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার ৬শ’ ৩৭ জন সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার, ১ হাজার ২শ’ ৭৪ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে।

নির্বাচনে একজন স্বতন্ত্রপ্রার্থীসহ মোট ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অপরদিকে যারা গাইবান্ধা ১ নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা বা ভোটার নন তাদের ভোটের দু’দিন আগেই নির্বাচনী এলাকা ছেড়ে যাবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এলাকা ছেড়ে না যাওয়া বা নির্বাচনে অবৈধ প্রভাব বিস্তার করলে বা করার চেষ্টা করলে পুলিশ এবং জেলা প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেবে।

গেলো বছরের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের উত্তর সাহাবাজ মাষ্টার পাড়ায় অবস্থিত নিজ বাসভবনে দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিক্যালে মারা যান সরকার দলীয় এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন।

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh