• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

চিহ্নিত দুই পুলিশসহ এমপিকে গ্রেপ্তারের দাবি সাঁওতালদের

অনলাইন ডেস্ক
  ১১ মার্চ ২০১৭, ১৮:১৮

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাপমারা ইউনিয়নের রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম ইক্ষু খামারে সাঁওতাল হত্যা, পল্লিতে অগ্নিসংযোগ, হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় চিহ্নিত দু’পুলিশ, এমপি, চেয়ারম্যান ও এমডিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে জানালো সাঁওতালরা।

শনিবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ চৌমাথা এলাকায় মানববন্ধনে তারা এ দাবি জানায়। জাতীয় আদিবাসী পরিষদ ও বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি এই কর্মসূচীর আয়োজন করে।

মানববন্ধনে যোগ দিতে গোবিন্দগঞ্জের মাদারপুর ও জয়পুর গ্রাম থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার সড়ক পায়ে হেঁটে তির-ধনুক, ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে নাগাড়া ও ঢোল বাজিয়ে শত শত সাঁওতাল শহরের চৌমাথায় জড়ো হয়।

সাঁওতাল ছাড়াও বাঙ্গালি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা মানববন্ধনে অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাঁওতালদের ঘরে আগুন লাগানোর ঘটনায় চিহ্নিত দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জড়িত অন্যদেরও চিহ্নিত করতে হবে। সাঁওতালদের পক্ষে মামলা দায়েরের সাড়ে তিনমাস পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ঘটনার ইন্ধনদাতাসহ কোনো আসামি এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।

তারা তিন সাঁওতাল হত্যার বিচার, তাদের জমি ফেরত এবং পুলিশের দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

মানববন্ধনে সাঁওতাল নেতারা বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে এমপি আবুল কালাম আজাদ, সাপমারা ইউপি চেয়ারম্যান শাকিল আকন্দ বুলবুল, চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল আউয়ালসহ যেই জড়িত থাকুক না কেন তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে।

এ সময় অবিলম্বে দাবি বাস্তবায়ন না হলে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন সাঁওতাল নেতারা।

গেলো বছরের ৬ নভেম্বর সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের জমি থেকে সাঁওতালদের উচ্ছেদের সময় চিনিকল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এতে তিন সাঁওতাল নিহত ও অন্তত ৩০ জন আহত হয়। হত্যা, বাড়িঘরে আগুন, লুটপাটের ঘটনায় ২৬ নভেম্বর স্থানীয় এমপি আবুল কালাম আজাদ, ইউপি চেয়ারম্যান শাকিল আকন্দ বুলবুল, চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল আউয়ালকে অভিযুক্ত করে সাঁওতালদের পক্ষে থোমাস হেমরম বাদী হয়ে ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে মামলা করেন।

অপরদিকে ১৬ নভেম্বর স্বপন মুরমু বাদী হয়ে ৬শ’ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে মামলা করেন। এই মামলায় মোট ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, সাঁওতালদের দুইটি মামলাই এক করে আদালতে দাখিল করা হয়েছে। মামলার তদন্ত করা হচ্ছে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh