• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
গাইবান্ধায় মরদেহ নিয়ে থানা ঘেরাও
বেঁধে দেওয়া দামে অসন্তোষ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকার নির্ধারিত দরে গরুর মাংস বিক্রি করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন মাংস বিক্রেতারা।  সোমবার থেকে শহরের মাংস বিক্রেতারা বিক্রি বন্ধ রেখে সরকার নির্ধারিত দামের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানান। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের বেশ কয়েকটি বাজারে মাংস বিক্রির দোকান বন্ধ থাকতে দেখা যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। দাম পুনঃবিবেচনা না করা পর্যন্ত মাংস বিক্রি বন্ধ রাখার কথা জানালেও কেউ তা বিক্রি করতে চাইলে তাতে বাধা দেওয়া হবে না বলে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।  সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শহরের প্রধান বাজার আনন্দবাজার, ফারুকি বাজার, মেড্ডা বাজার, মৌড়াইলের বউবাজার, কাউতলী বাজারসহ জেলা শহরের অন্তত ৩ শতাধিক দোকানে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রয়েছে।  ব্যবসায়ীরা জানান, সোমবার সকালে কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মাংসের দোকানে লিফলেট বিতরণ করা হয়। লিফলেটে গরুর মাংস ব্যবসায়ীদের ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। অথচ খামার বা ব্যাপারিদের কাছ থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস চামড়াসহ ক্রয় করতে হচ্ছে ৭২০ টাকা দরে। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মাংস ব্যবসায়ী বিক্রয় করে ৭৫০ টাকা দরে। এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাংস ব্যবসায়ী মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ফারুক আহমেদ জানান, আজ মঙ্গলবার তাদের দাবির বিষয়টি জেলা প্রশাসকের কাছে তুলে ধরা হবে। এদিকে বাজারে ক্রেতারা এসে মাংস কিনতে না পেরে তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, মাংস ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। অন্য শহরের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা যদি সরকার নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি করে লাভ করতে পারেন তাহলে এখানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাংস ব্যবসায়ীরা লাভ করতে পারবেন না কেন।
১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বেগুন
১৭ কবরের মাটি সরানো, এলাকায় চাঞ্চল্য
চোরাই কয়লা আনতে গিয়ে পাথরচাপায় ২ শ্রমিক নিহত
সিলেটে ছেলের হাতে বাবা খুন
সংগীতশিল্পী খালিদের মরদেহ গোপালগঞ্জে, দুপুরে জানাজা
আশি ও নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও চাইম ব্যান্ডের ভোকালিস্ট খালিদের মরদেহ গোপালগঞ্জে নিয়ে আসা হয়েছে।  সোমবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় গোপালগঞ্জ শহরের বাড়িতে তার মরদেহ এসে পৌঁছায়। এর আগে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সংগীতশিল্পী খালিদ। গতকাল রাত ১১টায় ঢাকার গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার মরদেহ নিয়ে রাতেই গোপালগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়। রাত সাড়ে ৩টায় গোপালগঞ্জ শহরের বাড়িতে পৌঁছায়। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বাদ জোহর গোপালগঞ্জ কোর্ট মসজিদে খালিদের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।  পরে শহরের গেটপাড়ার কবরস্থানে তার বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে বলে পারিবার নিশ্চিত করেছে। ‘হিমালয়, সরলতার প্রতিমা, কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’ শিরোনামের অসংখ্য জনপ্রিয় গানের এ শিল্পীর মৃত্যুতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ১৯৬৫ সালের ১ আগস্টে গোপালগঞ্জে জন্মেছিলেন সংগীতশিল্পী খালিদ। ১৯৮১ সালে গানের জগতে যাত্রা করেন তিনি। ১৯৮৩ সাল থেকে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দেন। একের পর এক হিট গান উপহার দিয়ে অল্প সময়েই খ্যাতি পান খালিদ। 
পার্কে ঘুরতে নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার
কিশোরগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. কাউছার উদ্দিন (২৩) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ঢাকার কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের র‌্যাবের একটি দল গ্রেপ্তার করে তাকে। গ্রেপ্তারকৃত কাউছার জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার হাত্রাপাড়া এলাকার মৃত আ. কাদিরের ছেলে। সোমবার (১৮ মার্চ) দিবগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‌্যাব কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক মো. আশরাফুল কবির।  সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভিকটিম কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ মহিলা কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। কলেজে আসা-যাওয়ার পথে আসামি কাউছার উদ্দিনের সঙ্গে ভিকটিমের পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে কাউছার চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ২ তারিখ বেলা ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া এলাকার নেহাল গ্রিন পার্কে ভিকটিমকে নিয়ে ঘুরতে যান। ঘোরাফেরা করে বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে পার্কের ভেতর একটি পরিত্যক্ত অন্ধকার ঘরে কাউছার ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ ঘটনায় ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে আসামি গ্রেপ্তারের থেকে বাঁচতে পলাতক ছিলেন। আসামিকে আইনের আওতায় আনতে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। পলাতক আসামির অবস্থান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামির অবস্থান নিশ্চিত করে র‌্যাব। কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প ও র‌্যাব-১০ এর যৌথ অভিযানে সোমবার বিকেলে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক মো. আশরাফুল কবির জানান, র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে গ্রেপ্তার আসামি কাউছার উদ্দিন উক্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জালে আটকা লক্ষ্মীপ্যাঁচা, উদ্ধারের পর অবমুক্ত
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জালে আটকা পড়া একটি লক্ষ্মীপ্যাঁচা উদ্ধারের পর অবমুক্ত করা হয়েছে।  সোমবার (১৮ মার্চ) রাতে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আমীরাবাদ গ্রাম থেকে আবুল বাশার (৫৫) নামের এক ব্যক্তি এ প্যাঁচাটি উদ্ধার করেন। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে লক্ষ্মীপ্যাঁচাটি ওই এলাকায় অবমুক্ত করা হয়। আবুল বাশার জানান, সন্ধ্যার সময় এ লক্ষ্মীপ্যাঁচাটি আমার এক প্রতিবেশীর জালে আটকা পড়ে। খবর পেয়ে রাতে আমি প্যাঁচাটি উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসি। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে এনিমেল লাভারস অব পটুয়াখালীর কলাপাড়া শাখার সদস্যদের উপস্থিতিতে প্যাঁচাটি অবমুক্ত করি। এখন আগের মতো আর লক্ষ্মীপ্যাঁচা সচরাচর দেখা মেলে না। আর এ প্রজাতির প্যাঁচা এর আগে আমি আর এই এলাকায় লক্ষ্য করিনি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কলাপাড়া উপজেলা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল হক মনি। তিনি জানান, লক্ষ্মীপ্যাঁচা উদ্ধারের খবর শুনেছি। এনিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালীর সদস্যরা এ প্যাঁচাটি উদ্ধার করে অবমুক্ত করতে সাহায্য করেছে। আমরা বন বিভাগ সব সময় তাদেরকে সহযোগিতা করি।
সুইডেনের রাজকন্যাকে বরণে প্রস্তুত খুলনা
খুলনার কয়রায় মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) যাচ্ছেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে সুইডেনের রাজকন্যা প্রিন্সেস ক্রাউন ভিক্টোরিয়া। তাকে বরণে প্রস্তুত খুলনা ও কয়রাবাসী। সুন্দরবনঘেরা এই উপজেলায় ক্রাউন প্রিন্সেসের আগমনে এরইমধ্যে সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। তার আগমন উপলক্ষে উপজেলাজুড়ে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরো এলাকাজুড়ে নিরপত্তার পাশাপাশি রাস্তাঘাট পরিষ্কার পরিছন্ন করা হচ্ছে। তার পরিদর্শনের জায়গাগুলো পরিপাটিভাবে গোছানোর কাজও শেষ পর্যায়ে। এ বিষয়ে খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াছির আরেফীন বলেন, আগামী ১৮-২১ মার্চ সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছা দূত হিসেবে বাংলাদেশে অবস্থান করবেন। এর মধ্যে ১৯ মার্চ তিনি বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় অঞ্চল খুলনার কয়রা উপজেলা পরিদর্শন করবেন। উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় লোকজনের জীবনমান নিজ চোখে দেখা, লিঙ্গ সমতা, মহারাজপুর ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটালাইজেশনে রূপান্তর দেখা, মদিনাবাদ স্মার্ট পোস্ট সেন্টারের উদ্বোধন এবং ব্যবসায়িক খাতের ভূমিকার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এসডিজি বাস্তবায়নে অগ্রগতি এবং চলমান কয়রার দূর্যোগ কবলিত চ্যালেঞ্জগুলো পরিদর্শন করবেন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া। মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, সুইডেনের প্রিন্সেস ক্রাউন ভিক্টোরিয়ার আমাদের পরিষদে আসবেন এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি সাজানো হচ্ছে। কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রীয় অতিথির কয়রায় আগমনে এরইমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি, র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, কোস্টগার্ড, গোয়েন্দা নজরদারিসহ সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম তারিক-উজ-জামান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় রাষ্টীয় অতিথিকে বরণের জন্য সকল প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। কয়রায় প্রায় ৪১ হাজার জনসংখ্যার এ ইউনিয়নের ১২ গ্রামের মানুষের সুপেয় পানির সংকট দীর্ঘদিনের। বছরের তিন মাস বৃষ্টির পানিতে চললেও বাকি ৯ মাস অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়। খাবার পানি নিরসনে ইউনিয়নের ভাগবা, মহেশ্বরীপুর, সাতহালিয়া ও নয়ানি গ্রামে চারটি রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টার স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ১ হাজার ৬০০ উপকারভোগী কার্ড সিস্টেমের মাধ্যমে ছয় মাস খাবার পানি সংগ্রহ করতে পারেন। বাকি ছয় মাস এসব উপকারভোগীকেও ড্রামপ্রতি ৬০ টাকা দিয়ে খাবার পানি কিনতে হয়। তবে ঘর-গৃহস্থালিসহ অন্যান্য কাজ নদীর নোনা পানি দিয়েই সারতে হয়। এতে সারা বছর তাদের স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগতে হয়।
বিয়ের তিন দিন আগে বিএনপি নেতার মেয়েকে নিয়ে উধাও ছাত্রলীগ নেতা!
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা এলাকার বেড়বাড়াদী গ্রামের মজনুর রহমানের মেয়ে ও হরিনারায়নপুর দোয়ারকাদাস আগরওয়ালা মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহনাজ আরা প্রাপ্তির বুধবার (২০ মার্চ) বিয়ের কথা ছিল। বিয়ের তিন দিন আগে রোববার (১৮ মার্চ) তাকে নিয়ে চম্পট দিয়েছেন আদিপুজ্জামান সংগ্রাম নামে ছাত্রলীগ নেতা। সংগ্রাম কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা সংগ্রামসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই তরুণীর বড় ভাই আসিফ করিম প্রাপ্তি। ঘটনার পর কুষ্টিয়াজুড়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।  জানা গেছে, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা এলাকার বেড়বাড়াদী গ্রামের মজনুর রহমানের মেয়ে ও হরিনারায়নপুর দোয়ারকাদাস আগরওয়ালা মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহনাজ আরা প্রাপ্তি রোববার দুপুরে হরিনারায়নপুর বাজারে যান কেনা কাটা করতে। কেনাকাটা শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে বেড়বাড়াদী এলাকা থেকে হরিনারায়নপুর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আদিপুজ্জামান সংগ্রাম কলেজছাত্রী প্রাপ্তিকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। তার ওই প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় ছাত্রলীগ নেতা সংগ্রামসহ কয়েকজন প্রাপ্তিকে সিএনজিযোগে তুলে নিয়ে যায়।  এ বিষয়ে কলেজছাত্রী প্রাপ্তির বড় ভাই আসিফ করিম প্রাপ্ত জানান, ছাত্রলীগ নেতা সংগ্রাম প্রায়ই তার বোন প্রাপ্তিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে সাড়া দিতো না বোন প্রাপ্তি। রোববার দুপুরে আবারও প্রেমের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করে প্রাপ্তি। তাই জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় প্রাপ্তিকে। এ ঘটনায় ইবি থানায় সংগ্রাম ও তার বাবা আজগর আলী এবং একই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে সোহানকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছি।  অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পর থেকে পুলিশ বোনকে উদ্ধারে চেষ্টা করলেও এখন পর্যন্ত সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে এ ঘটনায় পুলিশ সংগ্রামের বাবা আজগর আলীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান প্রাপ্ত।  এ বিষয়ে ইবি থানার ওসি মোহাম্মদ মামুন রহমান জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে প্রধান অভিযুক্ত সংগ্রামসহ কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করা যায়নি। তবে চেষ্টা চলছে। মোবাইলের সূত্র ধরে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। এদিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আদিপুজ্জামান সংগ্রামের এমন কাণ্ডে তোলপাড় চলছে কুষ্টিয়া ছাত্রলীগে। কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনিক জানান, ছাত্রলীগের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী কাউকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। সংগ্রামের বিষয়টি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুনেছি। তবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
টাঙ্গাইলের নাগারপুরে জাহিদ খান ঝলক নামের এক ছাত্রলীগে নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। জাহিদ খান ঝলক উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।  সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ১০টার দিকে উপজেলার সলিমাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জাহিদ খান ঝলক তারাবি নামাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে, কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার পথরোধ করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় তার ডাকচিৎকারে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচ এম জসিম উদ্দিন বলেন, গত কয়েক দিন পূর্বে ঝলকের সঙ্গে গ্রাম্য সালিশকে কেন্দ্র করে কয়েকজন যুবকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই ছাত্রলীগ নেতা খুন হতে পারেন। এ বিষয়ে হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
গোমস্তাপুরে ট্রাক্টর উল্টে চালক নিহত
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ট্রাক্টর উল্টে আশিক আলী (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন তার সহযোগী ওহেদুল ইসলাম (১৬)। সোমবার (১৮ মার্চ) রহনপুর-গোমস্তাপুর সড়কের নিমতলা মাদরাসা মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত চালক আশিক নাচোল উপজেলার ফুলকুঁড়ি পাহাড়পুর গ্রামের খাইরুল ইসলামের ছেলে। আহত সহযোগী একই গ্রামের বাসিন্দা ওহেদুল ইসলাম। স্থানীয়ারা জানান, একটি চলন্ত ট্রাক্টর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। এ সময় আহত হন চালক আশিক ও তার সহযোগী অহেদুল ইসলাম। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে চালক আশিক মারা যান।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গোমস্তাপুর থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহমেদ।  তিনি বলেন, তাদের দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। পরে চালক আশিক আলী মারা গেছেন। আর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তার সহযোগী ওহেদুল ইসলাম।