• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রাজধানীর উল্টোপথে বেশি চলে 'ভার্সিটির বাস'

আরাফাতুর রহমান

  ২৬ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:১৬

মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইনজীবী, সাংবাদিক, চিকিৎসকসহ উল্টোপথের যাত্রী এখন প্রায় সব পেশার লোক। নিয়ম ভাঙার এ মিছিলে বাদ পড়েনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলোও। বরং 'ভার্সিটির বাস' তকমা লাগিয়ে রাজপথে দাপট দেখিয়ে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পরিবহনগুলো। ভার্সিটির বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিআরটিসি’র বাসগুলোও ট্রাফিক আইনের তোয়াক্কা করছে না।

যদিও বিআরটিসি চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া আরটিভি অনলাইনকে জানালেন, আইনের চোখে সরকারি-বেসরকারি গাড়ির পার্থক্য করার সুযোগ নেই।

বুধবার রাজপথে দেখা গেল এমনই একটি ঘটনা। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থী নামিয়ে বিকেলে ক্যাম্পাসে ফিরছিল টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট বাস। শিক্ষার্থী ভর্তি বাসটি ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করলে পুলিশ একে আটকাতে চান। অনেকটা হৈ হৈ করে সিগন্যাল ভেঙ্গে ঝুঁকি নিয়ে পালাতে থাকে বাসটি।

এদিকে, ট্রাফিক সার্জেন্টও নাছোড়বান্দা। বাসটি ধরতে ধাওয়া করতে থাকেন। পেছনে আরটিভি। শেষ পর্যন্ত আটকাতে সফল হন। থামতে বাধ্য হয়ে টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা রাজনৈতিক পরিচয়ে বাসটিকে ছাড়িয়ে নিতে চাইলেন।

একই অবস্থা দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট বাসেরও। ভর দুপুরের ব্যস্ততম সময়ে উল্টো পথে যাওয়ায় বেঁধে যায় তীব্র যানজট। জাতিকে যারা ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য শেখানো সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বাসেরও একই অবস্থা।

আবার ট্রাফিক পুলিশ নেই এই সুযোগে উল্টোপথে চলতে শুরু দেখা গেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বাসটিও।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রক্টর ড. এ কে এমন গোলাম রব্বানি আরটিভি অনলাইনকে আশ্বাস দিলেন, ভবিষ্যতে এমন অনিয়ম কঠিনভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

এতো গেলো বাসের কথা। এসি গাড়িতে বসা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাই কী আইন মানেন?

রাজধানীর ভিআইপি মিন্টো রোডে যেন ভিআইপিদের আইন না মানার খোলা ময়দান। তারা হুটার বাজিয়ে সবাইকে জানান দিয়েই উল্টো পথে যান। কিন্তু অনেকটা ভয় পেয়েই ট্রাফিক সার্জেন্টরা তাদের কিছু বলার সাহস পান না।

আরকে/এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • জনদুর্ভোগ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh