• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বেড়েছে বাসের সংখ্যা, কমেনি নৈরাজ্য

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৬ এপ্রিল ২০১৭, ১৬:২১

সাত বছরে বাসের সংখ্যা বেড়েছে ১২ হাজার ৮৩৭টি। বিআরটিএ’র তথ্যমতে, সবশেষ ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাসের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ৬১৫টি। যা ২০১০ সাল পর্যন্ত ছিল ২৭ হাজার ৭৭৮টি।

শুধু ২০১৭ সালে ৮১৮টি বাসের অনুমোদন দেয় বিআরটিএ। তবে নতুন অনুমোদন পাওয়া বেশিরভাগ বাসই রাজধানীজুড়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। হাতেগোনা দু’একটা বাস সার্ভিস ছাড়া বেশিরভাগ বাস জড়িয়ে পড়ছে নৈরাজ্যে। তদারকি ও মনিটরিং এর অভাবে এসব বাস নগরবাসীর জন্য বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিআরটিএ’র রুট পারমিট হিসাবে, ২০১৬ সালে ৩ হাজার ৮৩৩টি, ২০১৫ সালে ২ হাজার ৩৯১টি, ২০১৪ সালে ১ হাজার ৪৮৮টি, ২০১৩ সালে ১ হাজার ১০৭টি, ২০১২ সালে ১ হাজার ৪৩৯টি, ২০১১ সালে ১ হাজার ৭৬১টি বাসের রুট অনুমোদন দেয়া হয়।

রুট পারমিটের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বাস ডাম্পিং হলেও তা নগণ্য।

২৬৮টি রুটে ১৪১ ক্যাটাগরিতে বাস ভাড়া নির্ধারণ করা হলেও নিজের ইচ্ছেমতো বাড়তি ভাড়া গুণে যাচ্ছে বাস সার্ভিসগুলো।

রাজধানীতে নিত্যদিন নতুন রঙ এর বাস দেখা যায়। চকচকে, ঝকঝকে বাস হওয়ায় যেকোনো নাম দিয়ে রাস্তায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। যা সংশোধিত কমিটির ভাড়াকে তোয়াক্কা না করে নিজের মতো নির্ধারণ করে। গ্যাসের দাম বাড়ার পর সিএনজিচালিত বাস-মিনিবাসের ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করে বিআরটিএ।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলকারী বাস-মিনিবাসের ভাড়া যাত্রীপ্রতি কিলোমিটারে নির্ধারণ করা হয় যথাক্রমে ১ টাকা ৭০ পয়সা এবং ১ টাকা ৬০ পয়সা। এছাড়া সর্বনিম্ন ভাড়া ৭ টাকা ও ৫ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়। কিন্তু নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে অধিকাংশ যাত্রী।

সরকার দফায় দফায় ভাড়া বাড়ানোর পরও যাত্রীদের কাছ থেকে বাসওয়ালাদের অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার নৈরাজ্য থামছে না। ঢাকায় বিভিন্ন রুটে আলাদা পরিবহন একই দূরত্বে আদায় করছে ভিন্ন ভাড়া। যার যেমন ইচ্ছা নির্ধারণ করছে ভাড়ার হার। এ নিয়ে প্রতিনিয়ত যাত্রী ও বাসকর্মীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা এমনকি মারামারির ঘটনাও ঘটছে।

এমসি/ডিএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • জাতীয় এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh