• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
জিম্মি জাহাজে উদ্ধার অভিযান নিয়ে যা বলল মালিকপক্ষ
রোহিঙ্গাদের জন্য ইউএনডিপি’র বড় তহবিল গঠনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বড় আকারের আন্তর্জাতিক তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিতে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে সফররত ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত এবং সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে এক বৈঠকে এই আহ্বান জানান। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচরাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক তহবিলের হ্রাস পাওয়ার প্রবণতার প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের সহায়তায় যাতে আরও বড় পরিমাণ তহবিল আসে সে প্রচেষ্টা জোরদার করার জন্য ইউএনডিপির প্রতি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে ভাসানচরে তাদের জন্য উন্নত আবাসনের ব্যবস্থা করেছে। তিনি বলেন, ভাসানচরে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করতে পারে। ভাসানচরে আরও রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর করতে ইউএনডিপির সহায়তা চেয়েছেন সরকারপ্রধান। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বিশেষত অর্থনৈতিক অঞ্চলে বৃহত্তর বিনিয়োগের জন্য সুইডিশ ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, কার্বন নির্গমনে বাংলাদেশের অবদান নগণ্য হলেও দেশটি মারাত্মকভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়ে থাকে। স্থানীয় জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমন কর্মসূচি সম্পর্কে সরকারপ্রধান বলেন, স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও এবং তাদের জীবিকা রক্ষায় বাংলাদেশ একটি জলবায়ু ট্রাস্ট গঠন করেছে। তিনি বলেন, তার সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র্য বিমোচন করা। এর ফলে ইতোমধ্যে দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৮.৭ শতাংশে এবং চরম দারিদ্যের হার ২৫.১ শতাংশ থেকে ৫.৬ শতাংশে নেমে এসেছে। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে যাতে কোনো মানুষ গৃহহীন না থাকে সে লক্ষ্যে সরকার বিনামূল্যে সারাদেশে গৃহহীনদের ঘূর্ণিঝড় সহিষ্ণু ঘর বানিয়ে দিয়েছে।তিনি বলেন, তার সরকার দেশের উপকূলীয় এলাকায় সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ করেছে। শেখ হাসিনা ১৯৬৯ সালে তার প্রথম সুইডেন সফরের কথা উল্লেখ করেন যখন তার স্বামী পড়াশোনা করতে সেখানে অবস্থান করছিলেন। সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া বলেন, সুইডেন ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। তিনি দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদারের ব্যাপারে তার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এর আগে, চার দিনের সফরে ভিক্টোরিয়া সোমবার ঢাকায় আসেন। তিনি কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। সূত্র : বাসস  
আত্মতুষ্টি নয়, আগামী পাঁচ বছর দেশ পাহারা দেবো : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির গুজব ছড়াচ্ছে বিএনপি : রেলমন্ত্রী
বিআরটিসির ৩৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীর অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ
জিম্মি জাহাজ উদ্ধারে প্রস্তুতি নিচ্ছে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী
জিম্মি জাহাজে বিস্ফোরণের শঙ্কা
সোমালি জলদস্যুদের হাতে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মির ঘটনার সপ্তাহ হতে চললেও এখনও কূল-কিনারা হয়নি। এদিকে জাহাজটি যেকোনো সময় বিস্ফোরণের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে থাকা ৫৫ হাজার টন কয়লাই এ আশঙ্কার মূল কারণ। জানা গেছে, কয়লাবাহী জাহাজ মেরিটাইম খাতে ঝুঁকিপূর্ণ কার্গো হিসেবে পরিচিত। প্রতি ২৪ ঘণ্টায় কয়লার কনসেন্ট্রেশন মেপে দেখতে হয়। ফোর্স মেইনটেইন করে মাত্রাতিরিক্ত গ্যাস বের করে দিতে না পারলে জাহাজে যেকোনো সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। যদিও এমভি আবদুল্লাহতে টেকনিক্যাল পারসন আছে, তবে এ বিষয়ে এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের কাছ থেকে কোনো তথ্য না পাওয়ায় আশঙ্কা আরও বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাগরে বাল্ক জাহাজে কয়লা দাহ্য জাতীয় খনিজ পদার্থ পরিবহনে ৫ ধরনের বিপদের শঙ্কায় থাকে। এ জন্য বেশ কিছু নিরাপত্তা পদক্ষেপ মেনে চলতে হয়। প্রতি ২৪ ঘণ্টায় জাহাজের খোলের ভেতরে মিথেন, কার্বন মনোক্সাইড এবং অক্সিজেনের পরিমাপ মেপে নির্ধারিত মাত্রার বেশি গ্যাস বের করে দিতে হয়। নিয়মিত পর্যবেক্ষণ না করা গেলে এসব গ্যাস বেড়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। বদ্ধ জায়গায় কয়লা থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছড়িয়ে পড়া মিথেনের পরিমাণ বাড়লে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। সেই সঙ্গে কার্বন মনোক্সাইড বেড়ে জাহাজে থাকা নাবিকদের প্রাণহানিও ঘটতে পারে। এ বিষয়ে মাস্টার মেরিনার ক্যাপ্টেন এম আনাম চৌধুরী বলেন, ‘মিথেন খুবই দাহ্য একটি গ্যাস। যেকোনো সময় এতে আগুন ধরতে পারে। সাধারণত এমন পরিস্থিতিতে আমরা কাউকে ডেকে সিগারেটও খেতে দেই না। কারণ, সামান্য সিগারেটের আগুন থেকে সেখানে বড় বিস্ফোরণ হতে পারে।’ উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি পতাকাবাহী এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণে নেয় সোমালি জলদস্যুরা। সবশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দস্যুদের পক্ষ থেকে এখনও যোগাযোগ করা হয়নি। এর মধ্যে জাহাজটির অবস্থান বারবার পরিবর্তন করা হচ্ছে।
২০৩২ সাল পর্যন্ত জিএসপি সুবিধা পেতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী
এলডিসি উত্তরণ পরবর্তীকালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা সুসংহত রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে বাংলাদেশের জন্য জিএসপি সুবিধা উত্তরণের মেয়াদ ২০২৯ সালের পরিবর্তে ২০৩২ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী সাইমন কভেনির নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের আইরিশ প্রতিনিধিদল সোমবার (১৮ মার্চ) গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচরাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। নজরুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে জানান, প্রধানমন্ত্রী এজন্য আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন যাতে ইইউ বাংলাদেশের জন্য ২০৩২ সাল পর্যন্ত বাণিজ্যিক সুযোগ-সুবিধা, বিশেষ করে জেনারেলাইজড স্কিম অব প্রেফারেন্স (জিএসপি) বৃদ্ধি করে। আয়ারল্যান্ডকে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ইইউ সদস্য দেশটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে সবসময় বাংলাদেশের পাশে থেকেছে। তিনি ইইউ প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের স্বার্থের বিষয়ে বাংলাদেশকে সমর্থন করতে আয়ারল্যান্ডের প্রতি অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে বিনিয়োগ করার জন্য আইরিশ ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিন থেকে চার বিলিয়ন ভোক্তার বাংলাদেশকে একটি সম্ভাব্য বড় মার্কেটিং হাব উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের আইসিটি, ফার্মাসিউটিক্যালস ও কৃষিভিত্তিক শিল্পের মতো বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতিশীল খাতে আয়ারল্যান্ডের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের বিশাল সুযোগ রয়েছে। শ্রম ইস্যু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের শ্রম ইস্যু নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়। শেখ হাসিনা আরও বলেন, ইইউভুক্ত দেশগুলো এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করলে এ বিষয়ে কোনো ভুল-বোঝাবুঝির সুযোগ থাকবে না। এ সময় আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী বলেন, আয়ারল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে আয়ারল্যান্ডের প্রথম অনারারি কনস্যুলেট খোলার জন্য তিনি এখানে এসেছেন উল্লেখ করে আইরিস মন্ত্রী বলেন, এই কার্যালয়টি দু’দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে সহায়ক হবে। সাইমন কভেনি বলেন, আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশের প্রযুক্তি ও খাদ্য শিল্পে (কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প) প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে চায়। তিনি বলেন, আয়ারল্যান্ড জাতিসংঘ ও ইইউ ফোরামে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। বর্তমানে আয়ারল্যান্ডে প্রচুর বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে উল্লেখ করে সফররত মন্ত্রী আশ্বস্ত করেন, তারা বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীকে স্বাগত জানাবে। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে আয়ারল্যান্ড তাদের সহায়তা অব্যাহত রাখবে। তবে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে নিরাপত্তা জোরদার, তাদের উপার্জনশীল কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত করার ও বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য স্থায়ী ও আরও উন্নত ঘরের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছেন। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরের জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তবে হত্যা ও অন্যান্য অপরাধ কখনও কখনও দেখা যায়, কারণ সেখানে অনেক অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠী রয়েছে- যারা এখানে দীর্ঘদিন অবস্থানের কারণে ইতোমধ্যে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বে শরণার্থীদের জন্য স্থায়ী ঘর নির্মাণের নজির নেই, তবে ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য বাংলাদেশ মানসম্মত আবাসনের ব্যবস্থা করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা সেখানে যেতে চাইলে আমরা ভাসানচরে প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গার জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কিছু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বেসরকারি সংস্থা ও দেশের বিরোধিতার কারণে ভাসানচরে আবাসন প্রকল্পটি সফল হচ্ছে না। বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, ভারতে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলি ও বাংলাদেশে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের অনারারি কনসাল মাসুদ জামিল খান উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস
সাংবাদিককে কারাদণ্ড : প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করলেন প্রধান তথ্য কমিশনার        
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দৈনিক দেশ রুপান্তরের শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা সংবাদদাতা শফিউর রহমান রানাকে কারাদণ্ড প্রদানের ঘটনার অনুসন্ধান কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে অবহিত করেছেন প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীকে তার দপ্তর কক্ষে এ অনুসন্ধান কার্যক্রম অবহিত করেন প্রধান তথ্য কমিশনার। সাংবাদিককে কারাদণ্ড প্রদানের ঘটনাটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দেওয়ায় তথ্য কমিশনকে এ সময় ধন্যবাদ জানান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।  প্রধান তথ্য কমিশনারের সাথে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার গণমাধ্যম ও পেশাদার সাংবাদিকদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় যেকোন পেশাদার সাংবাদিকের অনাকাঙ্ক্ষিত হয়রানির বিপক্ষে এবং পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষায় বদ্ধপরিকর। প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, জনগণের তথ্য পাওয়ার অধিকার আছে। সরকারের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য অধিকার আইন করেছেন। এ আইনের আওতায় জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।   তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক অনুসন্ধান প্রতিবেদন ইতোমধ্যে তথ্য কমিশনে দাখিল করেছেন বলেও প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন প্রধান তথ্য কমিশনার।  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) এ বিষয়ে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট উভয়পক্ষকে তথ্য কমিশনে সমন করা হবে বলেও প্রতিমন্ত্রীকে জানান প্রধান তথ্য কমিশনার। এ সময় তিনি তথ্য কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কেও প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন। তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক ও তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।  এর আগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দৈনিক দেশ রুপান্তরের শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা প্রতিনিধি শফিউর রহমান রানাকে কারাদণ্ড প্রদানের ঘটনায় গত ৭ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠায় ‘তথ্য চেয়ে আবেদন করে দেশ রুপান্তরের সাংবাদিক জেলে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের প্রেক্ষিতে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এর ২৫(৫) ধারা অনুযায়ী ঘটনাটি তদন্তের জন্য তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুককে দায়িত্ব দেয় তথ্য কমিশন।  সাংবাদিককে কারাদন্ড প্রদানের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে আমলে নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এ বিষয়ে প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেকের সাথে কথা বলে ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তের ওপর জোর দেন। প্রতিমন্ত্রী বিষয়টি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করেছেন। এ ঘটনা অনুসন্ধানের জন্য তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক গত ১০ মার্চ সকালে শেরপুর জেলা কারাগারে গিয়ে সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানার সঙ্গে কথা বলেন এবং তার বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেন। এদিন দুপুরে তিনি নকলায় সাংবাদিক রানার বাসায় গিয়ে তার স্ত্রীর সাথেও কথা বলেন। একইদিন বিকেলে তথ্য কমিশনার নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিনের সঙ্গে সাংবাদিকের আবেদনের বিষয়ে কথা বলেন ও সাজার নথি দেখেন।  
সাংবাদিককে কারাদণ্ডের ঘটনায় অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার সাংবাদিক শফিউর রহমান রানাকে কারাদণ্ড প্রদানের ঘটনার অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তথ্য কমিশন। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের নিকট প্রতিবেদন জমার বিষয়টি উপস্থাপন করেন প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক। সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক ও তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টি। সাংবাদিককে কারাদণ্ড প্রদানের ঘটনাটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দেওয়ায় তথ্য কমিশনকে এ সময় ধন্যবাদ জানান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। প্রধান তথ্য কমিশনারের সাথে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার গণমাধ্যম ও পেশাদার সাংবাদিকদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় যেকোন পেশাদার সাংবাদিকের অনাকাঙ্ক্ষিত হয়রানির বিপক্ষে এবং পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষায় বদ্ধপরিকর। প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, জনগণের তথ্য পাওয়ার অধিকার আছে। সরকারের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য অধিকার আইন করেছেন। এ আইনের আওতায় জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।   তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক বলেন, আগামীকাল (১৯ মার্চ) এ বিষয়ে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট উভয়পক্ষকে তথ্য কমিশনে সমন করা হবে বলেও প্রতিমন্ত্রীকে জানান প্রধান তথ্য কমিশনার। এ বিষয়ে তিনি তথ্য কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কেও প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন। এর আগে ঘটনাটি তদন্তের জন্য তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুককে দায়িত্ব দেয় তথ্য কমিশন। দায়িত্ব পেয়েই তিনি গত ১০ মার্চ সকালে শেরপুর জেলা কারাগারে গিয়ে সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানার সঙ্গে কথা বলেন এবং তার বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেন। একইদিন দুপুরে তিনি নকলায় সাংবাদিক রানার বাসায় গিয়ে তার স্ত্রীর সাথেও কথা বলেন। বিকেলে তথ্য কমিশনার নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিনের সঙ্গে সাংবাদিকের আবেদনের বিষয়ে কথা বলেন ও সাজার নথি দেখেন। গত পাঁচ মার্চ দেশ রূপান্তরের শেরপুরের নকলা উপজেলা সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শিহাবুল আরিফ পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এ দণ্ডাদেশ দেন।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি  ইউএনও কার্যালয়ে প্রবেশ করে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথি জোরপূর্বক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় কর্মরত সিএ শিলা আক্তার তাকে বাধা দিলে রানা তার সঙ্গে অসদাচরণ করেন এবং তাকে গালিগালাজ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হলে তার সঙ্গেও রানা অসদাচরণ করেন।  এ অভিযোগে নকলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রানাকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নকলা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শিহাবুল আরিফ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে রানাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি ও বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে আগামীকাল  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ)। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে গত ৬ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। আবেদনে তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর অনুমতিও চাওয়া হয়। পরে সেই আবেদনের বিষয়ে মতামত নিতে সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার জন্য পরিবারের আবেদনের বিষয়ে কী করা হবে, জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে, এই চিঠিতেও তারা আগের মতোই স্থায়ী মুক্তি চাচ্ছেন। আমি বুঝলাম না স্থায়ী মুক্তি মানে কী? এছাড়া, বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চাচ্ছেন। আমার কাছে আজকে সচিব ফাইলটা দিয়েছেন। ওনারা (খালেদার পরিবার) কী আবেদন করেছেন, সেটি দেখে ভালো করে বিবেচনা করে আমি অতিসত্বর নিষ্পত্তি করব। আগামীকাল (মঙ্গলবার) নাগাদ হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ। আনিসুল হক বলেন, ফাইলটা আজকেই পেয়েছি। আমাকে বিবেচনা করতে হবে, পড়তে হবে, দেখতে হবে। তবে, একটা বিষয় বলতে পারি, সেটি হলো খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন হবে না।  এর আগে, ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না— এ দুটি শর্তে বিএনপি চেয়ারপারসনের দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আটবার বাড়ানো হয়েছে। এবার বাড়ানো হলে নয়বারের মতো খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়বে। সর্বশেষ গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছিল। এই মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হবে। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা শেষে গত ১৪ মার্চ গুলশানের বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এর আগে, ১৩ মার্চ রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয় তাকে। এরপর একই বছরের ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার সাজা আরও ৫ বছর বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে কারাদণ্ড ছাড়াও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় তাকে। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এরপর ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয় সরকার। এরপর আরও ৭ মেয়াদে বাড়ে তার এই মুক্তির মেয়াদ। 
এনএসআইয়ের নতুন পরিচালক সালেহ মোহাম্মদ তানভীর
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (এনএসআই) পরিচালক (ডিআইজি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন উপপুলিশ মহাপরিদর্শক (বিশেষ শাখা) সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। সোমবার (১৮ মার্চ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এ পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য তার চাকরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে ন্যস্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে একই প্রজ্ঞাপনে এনএসআইয়ের বর্তমান পরিচালক (অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সেলিম মো. জাহাংগীরকে বর্তমান পদ থেকে প্রত্যাহার করে নিজ কর্ম অধিক্ষেত্রে প্রত্যাবর্তনের জন্য তার চাকরি জননিরাপত্তা বিভাগে প্রত্যর্পণ করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু ভাবতেই পারেননি বাঙালিরা তাকে হত্যা করবে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর একটা বিশ্বাস সবসময় ছিল যে বাঙালিরা তাকে কখনো মারবে না। অনেকেই তাকে সাবধান করেছেন। কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেননি। বলেছেন, ‘না ওরা তো আমার ছেলের মতো। আমাকে কেন মারবে।’ বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে এতো গভীরভাবে ভালোবেসেছিলেন যে, এ দেশের কোনো মানুষ তার গায়ে হাত দেবে, তাকে হত্যা করবে তিনি ভাবতে পারেননি। কিন্তু আমরা দেখলাম, যারা আমাদের বাড়িতে প্রতিনিয়ত এসেছে, আমার মায়ের হাতের খাবার খেয়েছে। ১৫ আগস্ট তারাই ঘাতক হিসেবে হত্যাকাণ্ড চালালো। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে জাতির পিতার ১০৪তম জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ আমলে দুর্ভিক্ষ লেগেই থাকত। দুর্ভিক্ষের সময় সেই ছোট্ট খোকা (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) তার বাবার ধানের গোলা খুলে দিয়ে গরিব মানুষকে সাহায্য করেছে। এভাবেই ছোটোবেলা থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে মানুষের প্রতি দরদ ও কর্তব্যবোধ জেগে উঠে। আমার দাদা-দাদি তার খোকাকে যেভাবে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে উৎসাহিত করেছেন, সেটিও বিরল ঘটনা। তিনি বলেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট এবং তার লেখা বইগুলো নেতাকর্মীদের পড়া উচিত। তিনি অত্যন্ত সাদাসিদে জীবন-যাপনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সরকারপ্রধান বলেন, রমজানে আমরা ইফতার পার্টি না করে এই খাবার দরিদ্র মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেব। সারাদেশে একমাত্র আওয়ামী লীগ এবং আমাদের সহযোগী সংগঠন ও জনপ্রতিনিধিরা মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করছেন। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেন, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ডা. দীপু মণি প্রমুখ।