আলোকচিত্রী শহিদুল আলম সাত দিনের রিমান্ডে
দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে সাত দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম (এসিএমএম) আসাদুজ্জামান নূর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আজ সোমবার তাকে আদালতে তুলে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আরমান আলী।
তবে শহিদুলের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও জোতির্ময় বড়ুয়া রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় আইসিটি অ্যাক্টে মামলা দায়ের করা হয়। যার নম্বর-৫। এ মামলার বাদী হয়েছেন ডিবি উত্তরের ইন্সপেক্টর মেহেদী হাসান। মামলাটি তদন্ত করছেন ইনিসপেক্টর আরমান আলী।
এদিকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর দৃক গ্যালারিতে এক সংবাদ সম্মেলন শহিদুল আলমের স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ বলেন, গতকাল ধানমন্ডির ৯/এ সড়কের বাসার চারতলা থেকে শহিদুলকে ধরে নিয়ে যায় ডিবি (পুলিশের গোয়েন্দা শাখা) পরিচয় দেওয়া একদল লোক। তিনটি গাড়িতে তারা এসেছিল। এ সময় বাড়ির সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে তারা হার্ডডিস্ক নিয়ে যায়। রাতে বিভিন্ন স্থানে খবর নিয়ে শহিদুল আলমের কোন সন্ধান পাননি বলে দাবি করেন রেহনুমা।
রেহনুমা সাংবাদিকদের আরও জানান, তিনি সংবাদমাধ্যমে জানতে পারেন শহিদুলকে ডিবি অফিসে নেওয়া হয়েছে। আজ দুপুরে ফোন করে তাকে ডিবি কার্যালয়ে যেতে বলা হয়েছে।
১৯৮৯ সালে দৃক ফটো গ্যালারি প্রতিষ্ঠা করেন শহিদুল আলম। ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন দক্ষিণ এশিয়ার ফটোগ্রাফি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠশালা।
আরও পড়ুন :
এমসি/এমকে
মন্তব্য করুন