• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সাকার রায় ফাঁসের মামলা

স্ত্রী-পুত্র খালাস, আইনজীবীসহ ৫ জনের কারাদণ্ড

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৩:৪৬

ফাঁসি কার্যকর হওয়া যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর রায় ফাঁসের মামলায় খালাস পেয়েছেন তার স্ত্রী ও পুত্র। তার আইনজীবীসহ পাঁচজনের সাজা হয়েছে বিভিন্ন মেয়াদে।

বৃহস্পতিবার সাকা চৌধুরীর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের খসড়া ফাঁসের মামলার এ রায় দেন সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম শামসুল আলম।

সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার একেএম ফখরুল ইসলামকে ১কোটি টাকা জরিমানাসহ ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ম্যানেজার মাহবুবুল হাসান, ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের জুনিয়র আইনজীবী মেহেদী হাসান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী ফারুক আহমেদ ও নয়ন আলীকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ফখরুলকে ১ কোটি টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয়মাস এবং অন্য ৪ জনকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাস করে কারাদণ্ডও দেয়া হয়।

রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানান উভয়পক্ষের আইনজীবী।

এর আগে ১৪ ও ২৮ আগস্ট মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ঠিক হয়েছিল। নানা কারণে তা পেছানো হয়। ১৫ সেপ্টেম্বর নতুন তারিখ ঠিক করেন আদালত।

মামলায় সাকা চৌধুরীর স্ত্রী-ছেলেসহ সাতজন আসামি। এদের মধ্যে সাকার আইনজীবী ফখরুল ইসলামসহ চারজন কারাগারে। ফখরুলের সহকারি মেহেদী হাসান পলাতক। জামিনে ছিলেন সাকার স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী। ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী পালাতক। তবে পরিবারের দাবি হুম্মাম কাদেরকে গুম করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ মামলার রায় দেন ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর। ওইদিন সকালেই তার স্ত্রী, পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা রায়ের ‘খসড়া কপি সংবাদকর্মীদের দেখান। আদালতের রায় নিয়ে কটাক্ষও করেন।

পরদিনই ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন নিবন্ধক (রেজিস্ট্রার) এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় একটি জিডি করেন। পরে ৪ অক্টোবর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান শাহবাগ থানায় মামলা করেন।

উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয় গেল ৪ আগস্ট।

ওইদিন জামিনে থাকা আসামি সাকার আইনজীবী ব্যারিস্টার একেএম ফখরুল ইসলাম, ম্যানেজার মাহবুবুল হাসান এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী ফারুক আহমেদ ও নয়ন আলীর জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন ট্রাইব্যুনাল। তবে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী নারী ও বয়স্ক বিবেচনায় তার জামিন বহাল রাখেন।

গেল বছরের নভেম্বরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সালাউদ্দিন কাদেরের রায় কার্যকর করা হয়।

এমকে/

মন্তব্য করুন

daraz
  • আইন-বিচার এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh