• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ নিয়ে নয়ছয়

মিথুন চৌধুরী

  ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২০:৫২

সুবিধার অপব্যবহারের যুক্তি দেখিয়ে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ বন্ধের উদ্যোগ নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই মধ্যে গভর্নর ফজলে কবির বিষয়টি নিয়ে কমিটি গঠন করেছেন। বিশ্বের নানা দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা এভাবে বিনামূল্যে ওষুধ পান কি না সেটি পর্যালোচনা করছে কমিটি।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে এমন পূর্বাভাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফার্মেসি থেকে প্রতিবছর ১ হাজার টাকার ওষুধ নিতে পারেন ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। গেলো ২ যুগ ধরে এ প্রথা চালু আছে। অবসরে গেলেও এ সুবিধা তারা পেয়ে থাকেন। এছাড়া হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, রক্তচাপ জটিল রোগে যারা আক্রান্ত তারা সীমা নির্ধারণ ছাড়া ওষুধ পেয়ে থাকেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩০তলা ভবনে থাকা ফার্মেসিটির নিয়ন্ত্রণে একজন মহা-ব্যবস্থাপক পদ মর্যাদার চিকিৎসকসহ কয়েকজন মেডিক্যাল অফিসার দায়িত্ব পালন করেন।

সূত্র বলছে, কিছু অসাধু কর্মকর্তা ফার্মেসি থেকে ওষুধ নিয়ে বাইরে বিক্রি করেন।

এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গভর্নর বিনামূল্যে ওষুধ দেয়া বন্ধ করা যায় কি না তা কমিটির মাধ্যমে খতিয়ে দেখছেন।

তবে এ যুক্তিতে ব্যাংকের কর্মকর্তারা অসন্তোষ জানিয়ে বলছেন, ওষুধ খুবই গুরুপ্তপূর্ণ জিনিস। দীর্ঘদিন এ সুবিধা ভোগ করে আসছে সবাই। তবে ওষুধ নিয়ে দুর্নীতির বিষয়টা ম্যানেজমেন্টের দেখার দরকার, দেখবে। যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেবে কিন্তু তাই বলে সুবিধা বন্ধ করে দেবে- এটা এক ধরনের অবিচার। অবসরকালীন ব্যাংকারের আয় থাকে না বললেই চলে। তখন এ ওষুধ অনেক সার্পোট দিয়ে থাকে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বিনামূল্যে ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আমরা ওষুধ এখনো দিয়ে আসছি। এ বিষয়ে গভর্নরের নির্দেশে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এরপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এমসি/ডিএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • অপরাধ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh