কাকরাইল মারকাজ মসজিদে তাবলিগের দুই গ্রুপে মারামারি

আবারও তাবলিগ জামাতের দুই গ্রুপের মাঝে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।দিল্লির মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিতর্কিত বক্তব্য নিয়ে শনিবার রাজধানীর কাকরাইল মারকাজ মসজিদে মারামারির ঘটনা ঘটে।

সকালে কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের মজলিশে সুরার বৈঠক বসে। এসময় মাওলানা সাদের বিতর্কিত বক্তব্যকে ঘিরে সাদ পন্থী ও তার বিরোধী গ্রুপের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে সাদ বিরোধীরা বলেন, মাওলানা সাদ যদি তার বিতর্কিত বক্তব্য থেকে সরে না আসে তাহলে তাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবে না। একথা বলার সঙ্গে সঙ্গে তাদের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি শুরু হয়।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : বিমানবন্দরে আড়াই কোটি টাকার নিষিদ্ধ ওষুধ জব্দ
--------------------------------------------------------

এ বিষয়ে পুলিশের রমনা জোনের এডিসি এইচ এম আজিমুল হক সাংবাদিকদের জানান, মারামারি খবর শুনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কাকরাইল মসজিদে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে দুই গ্রুপকে মসজিদ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য দুই গ্রুপকে নিয়ে বৈঠকে বসা হবে।

এর আগে গতকাল শুক্রবার কাকরাইলের তাবলিগ জামাতের প্রধান কেন্দ্রটি (মারকাজ) দখলে নেয় সাদ বিরোধীরা।তারা শুক্রবার বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীকে কাকরাইল মসজিদে এনে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন। সাদের দেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত আর এ দেশে বাস্তবায়িত হবে না বলেও তারা ঘোষণা দেন।

উল্লেখ্য,২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের সদস্য মাওলানা জুবায়ের এবং সুরা সদস্য ওয়াসিফুল ইসলামের গ্রুপের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। জুবায়ের পাকিস্তান গিয়ে একটি জামাতে অংশ নিয়ে আহমেদ লাকশাহ নামের একজনের সঙ্গে দেখা করে। তিনি জুবায়েরের কাছে বাংলাদেশের তাবলিগ জামাতের সদস্যদের জন্য একটি বার্তা দিয়েছিলেন। তবে জুবায়ের বাংলাদেশে এসে তিনি সে বার্তা জানাননি। সুরা সদস্যরা অন্য মাধ্যমে বার্তার বিষয়টি জানতে পারেন। সুরা সদস্যদের বৈঠকের সময় বিষয়টি উঠে আসে এবং তখনই দুইপক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়।

আরও পড়ুন :

• বিয়ে করে বাসায় ফেরার পথে নববধূ ছিনতাই
• বিএবার বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত হবে মেট্রোরেল

এমকে