• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মাদকাসক্ত স্বামীকে হত্যার পর আত্মসমর্পণ

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট, সীতাকুণ্ড

  ০৬ অক্টোবর ২০১৬, ১৬:৩০

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার মাদামবিবিরহাটে মাদকাসক্ত স্বামীকে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পণ করলেন স্ত্রী খতিজা বেগম। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশ খতিজা বেগমকে নিয়ে বুধবার মাঝরাতে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

সীতাকুণ্ড ভাটিয়ারী ইউনিয়নের মাদামবিবিরহাট নেভী রোড এলাকার মোঃ নাছির কন্ট্রাক্টরের বাসায় স্বামীর সঙ্গে ভাড়া থাকতেন খতিজা। বুধবার ভোরে মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে (৪৮) ভারি পাথর দিয়ে মাথা ও গলায় আঘাত করে হত্যা করেন খতিজা বেগম (৪২)।

জাহাঙ্গীর আলম ফেনী দাগনভূঁইয়া থানার ভবানীপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। সম্পর্কে খতিজার আপন খালাতো ভাই। ২০০০ সালে বিয়ে করেন তারা। শাহীন (১৩) ও সম্রাট (৩) নামে তাদের দুই ছেলে আছে। জাহাঙ্গীর মাদামবিবিরহাটে আবুল খায়ের গ্রুপের একটি কারখানার ড্রাইভার।

খতিজার অভিযোগ, চাকরিশেষে প্রতিরাতেই মাদকসেবন করে ঘরে ফিরতেন জাহাঙ্গীর। তারপর স্ত্রী-সন্তানদের ওপর নির্যাতন চলতো। বছরের পর বছর জাহাঙ্গীরের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন খতিজা। বুধবার রাতে ঘরে ফিরে একইভাবে খতিজাকে মারধর করেন জাহাঙ্গীর। যন্ত্রণা থেকে মুক্তির উপায় না পেয়ে স্বামীকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন খতিজা। রাতে জাহাঙ্গীর ঘুমিয়ে পড়লে ভোরে পাটার পাথর(শিল) দিয়ে তার মাথা ও গলায় আঘাত করলে সেখানেই মারা যান জাহাঙ্গীর।

খতিজা আরো জানান, হত্যার পর তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েন। কি করবেন, কোথায় যাবেন এসব ভেবে দুই সন্তানকে নিয়ে সারাদিন উপজেলার বিভিন্ন জায়গার ঘোরাফেরা করেন। এক পর্যায়ে রাতে থানায় আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেন।

খতিজার মুখে স্বামী হত্যার বর্ণনা শুনে পুলিশ সদস্যরা ওসি মোঃ ইফতেখার হাসানকে ঘটনাটি জানান। সব শুনে তিনি সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) মোজাম্মেলের সঙ্গে খতিজা বেগমকে ঘটনাস্থলে পাঠান।

রাত ১টার দিকে মোজাম্মেলের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছালে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। বুধবার ভোরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটলেও গভীর রাতে পুলিশ আসার আগে আশপাশের কেউই এ ঘটনা জানতো না। পরে সুরতহাল তৈরি শেষে রাত ২টার দিকে জাহাঙ্গীরের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।

সীতাকুণ্ড থানার ওসি জানান, হত্যার আসল কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খতিজাকে কোর্টহাজতে পাঠানো হয়েছে। তার দুই সন্তান পুলিশ হেফাজতে।

এম/ এসজেড

মন্তব্য করুন

daraz
  • অপরাধ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh