• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

অনিয়মের অভিযোগে আইভি রহমান স্টেডিয়ামের কাজ বন্ধ

ভৈরব প্রতিনিধি

  ০৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৯:১০

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অনিয়মের কারণে শহীদ আইভি রহমান পৌর স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলরুবা আহমেদ।

ফলে মঙ্গলবার থেকেই ঢালাই কাজ বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্টেডিয়াম নির্মাণে নিম্নমানের পাথর ও বালু ব্যবহারের অভিযোগ উঠায় ঢালাই কাজ বন্ধ করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

জানা গেছে, স্টেডিয়াম নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। এরপরও তারা নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে করে যাচ্ছিল। এরইমধ্যে স্টেডিয়ামের দুই পাশের গ্যালারি নির্মাণে আনুমানিক ৬০ শতাংশ কাজ শেষ করেছে। বাকি কাজও শেষের পথে। এই অবস্থায় ব্যাপক হারে অনিয়মের বিষয়টি স্থানীয় লোকজন ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মো. সায়দুল্লাহ মিয়া ও স্থানীয় সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপনকে অবগত করেন। পরে অভিযোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে বিবিসি সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ আলহাজ নাজমুল হাসান পাপন গত সোমবার ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরেজমিনে অভিযোগের সত্যতা পেলে তিনি নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, গেল ২০১৬ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে স্টেডিয়ামটিতে দ্বিতল প্যাভিলিয়ন ভবন নির্মাণসহ মাঠ উন্নয়ন, গ্যালারি, ড্রেন, চারদিকে দেয়াল ও গ্রিল নির্মাণ এবং মাটি ভরাট বাবদ আট কোটি ৬৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। পরে মেসার্স ভূইয়া অ্যান্ড ভূইয়া ডেভলাপার ও মেসার্স খলিলুর রহমান নামে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এই স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজের মেয়াদ এক বছর নির্ধারণ করা হয়। সেই হিসেবে এ মাসেই নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাজে ধীরগতির কারণে পরে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ছয় মাস বৃদ্ধি করা হয়। ফলে আগামী জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। অন্যদিকে স্টেডিয়ামের ভবন নির্মাণ কাজ ৭৫ শতাংশ শেষ হলেও গ্যালারিসহ অন্যান্য নির্মাণ কাজ আরো অন্তত ৪০ শতাংশ এখনো বাকি রয়েছে। তাছাড়া সিডিউল অনুযায়ী ৩/৪ সাইজের ভোল্ডার পাথর ও সিলেকসন বালু দিয়ে ঢালাইয়ের কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সঠিক সাইজের পরিবর্তে নিম্নমানের নুরি পাথর ও সিলেকসন বালুর পরিবর্তে নদী থেকে ড্রেজারে তোলা বালু দিয়ে ঢালাই কাজ করে আসছিল। এসব অভিযোগের কারণে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়।