• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ভারতে পাচারের সময় শিশুসহ আটক ২০

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

  ০৮ অক্টোবর ২০১৭, ০৮:৩৬

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতের অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে এক শিশু ও নারীসহ ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, তাদেরকে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

শনিবার রাত ৮ টার দিকে সীমান্তের তালসারি ডিসি ইকোপার্ক থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতদের বাড়ি গোপালগঞ্জ ও শরিয়তপুর জেলায় বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, দামুড়হুদার মুন্সিপুর সীমান্ত এলাকার পাচারকারি সংঘবদ্ধ দালালচক্র আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

শনিবার রাতে ওই পাচারকারি দালালচক্র গোপালগঞ্জ ও শরিয়তপুর জেলার শিশুসহ ২০ জনকে অবৈধভাবে ভারতে নিয়ে যাবার উদ্দেশ্যে শিবনগরস্থ ডিসি ইকোপার্কে অবস্থান করছিল।

দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ বিষয়টি গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পেরে তাদেরকে আটক করতে সক্ষম হলেও সংঘবদ্ধ দালালচক্রের কাউকেই আটক করতে পারেনি।

আটককৃতরা হলেন- গোপালগঞ্জ জেলার মুকুসদপুর উপজেলার বাগাদিয়া গ্রামের অবিনাশ মন্ডলের ছেলে মানব মন্ডল (৩৮), স্ত্রী কাকলি মন্ডল (৩২), একই উপজেলার গোয়াল গ্রামের কানাইলাল সরকারের ছেলে কংকন সরকার (২৮), চকশি গ্রামের বীরেন বৈরাগীর ছেলে বিষ্ণুপদ বৈরাগী (৩০), বাসুদেবপুর গ্রামের অমৃত বিশ্বাসের ছেলে অনিমেষ বিশ্বাস (৩৩), পাটকেলবাড়ি গ্রামের সমর মন্ডলের ছেলে মহানন্দ মন্ডল (১৭), বাটিকামারি গ্রামের বলরাম মন্ডলের ছেলে নবীন মন্ডল (২১), কলিগ্রামের দূর্লভ বারুইয়ের ছেলে বিলাশ বারুই (১৮), একই গ্রামের তারাপদ মল্লিকের ছেলে ছেলে সমির মল্লিক (১৬), নিশিন্তপুরের নিরঞ্জন সরকারের ছেলে নিহার সরকার (৫০), নয়াকান্দি গ্রামের মৃত মহন্ত বৈরাগীর ছেলে অনন্ত বৈরাগী ( ৬০), স্ত্রী রমেলা বৈরাগী (৪৮), মৃত কালীপদ বারুইয়ের স্ত্রী ডলি বারুই (৬৫), ভাবরাশুর গ্রামের মঙ্গলের স্ত্রী নিলিমা মন্ডল (৩৮), তার শিশু কন্যা পূজা মন্ডল (৬), জলিরপাড় গ্রামের আনন্দ বৈরাগীর স্ত্রী রিনা বৈরাগী (৪০), একই গ্রামের বলাই মন্ডলর স্ত্রী হাসি মন্ডল (৬০), টকাইডাঙ্গা গ্রামের শুকান্ত বিশ্বাসের মেয়ে শ্যামলী বিশ্বাস (২৫) এবং শরিয়তপুর জেলার জামিনি পালের ছেলে কৃষ্ণপদ পাল (৬৩) ও তার স্ত্রী আলো রানী পাল (৫৫)।

আটককৃতরা জানান, মুকসুদপুর উপজেলার দালাল স্বপন তাদেরকে ভারতে পৌছে দেয়ার কথা বলে মাথাপিছু ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা করে নেয়।

শনিবার ভোরে তারা মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় থেকে বাসযোগে রওনা হন এবং ফরিদপুর হয়ে সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার শিবনগরস্থ ডিসি ইকোপার্কে পৌঁছায়।

দালাল স্বপন ওখানে তাদেরকে বসিয়ে রেখে স্থানীয় দালালদের সাথে কথা বলে। গভীর রাতে তাদেরকে মুন্সিপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পৌঁছে দেয়ার কথা ছিল।

স্থানীয় অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, ডিসি ইকোপার্কে বহিরাগত হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষদের দেখে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হলে তারা বিষয়টি স্থানীয় নাটুদহ পুলিশ ফাঁড়িকে জানায়।

নাটুদহ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌছে তাদেরকে আটক করেন। পরে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের আটক করে থানায় নেয়।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, মুন্সিপুর গ্রামের খোকা ধামার ছেলে ফারুক (৪০), ঠাকুরপুর গ্রামের হাবিবুর (৩৮), পীরপুরকুল্লাহ গ্রামের ছাত্তারের ছেলে মালেক (৩৮), একই গ্রামের তেতুলের ছেলে আলী, জবেদের ছেলে ইমাদুল, হুদাপাড়ার মৃত আয়ুব আলীর ছেলে হাসিবুর (৩০), একই গ্রামের জিয়াবদ্দীনের ছেলে সাদেক (৩২) এবং জলিল মোল্লার ছেলে আশরাফ ওই পাচারকারিচক্রের সক্রিয় সদস্য।

এদের গডফাদার হচ্ছেন মুন্সিপুর গ্রামের খোকা ধামার ছেলে ফারুক। সে বিজিবির সোর্স হিসেবে এলাকায় পরিচিত। স্থানীয় ওই দালালদের মাধ্যমেই তাদেরকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখে স্থানীয় ওই দালালদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসি।

দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান আরটিভি অনলাইনকে জানান, আটককৃতদের নামে পাসপোর্ট আইনে মামলা করা হয়েছে। রোববার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অপরাধ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
হিটস্ট্রোকে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
তীব্র গরমে পুলিশ সদস্যদের প্রতি ১১ নির্দেশনা
বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য হলেন ডা. আতিকুর রহমান
শাবনূরকে চিনতে না পেরে আটকে দিল পুলিশ
X
Fresh