টাঙ্গাইলে ‘জঙ্গি আস্তানা’ থেকে দুই ভাই আটক, অভিযান সমাপ্ত
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা মরসুন্দী এলাকার ‘জঙ্গি আস্তানা’ থেকে দুই সহোদরকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় ওই বাড়ি থেকে ড্রোন, বিস্ফোরক, জিহাদী বই ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে অভিযান সমাপ্ত করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- মাসুদ ও খোকন। সোমবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে তাদের আটক করা হয়।
টাঙ্গাইল র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার বীণা রানী দুই জঙ্গি আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, সোমবার দিনগত রাত ১২টা থেকে কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গার হাসান চিশতি নামের এক ব্যক্তির একতলা বাড়ি ঘেরাও করে রাখে র্যাব। অভিযান শুরুর পর কমপক্ষে পাঁচটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে।
এদিকে টাঙ্গাইলে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের সূত্র ধরে রাজধানীর দারুসসালামের বাঁধন সড়কের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।
ভোর ৫টার দিকে আস্তানার কাছে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
তিনি আরো জানান, টাঙ্গাইলের আস্তানা থেকে জেএমবির দুই জঙ্গি আটকসহ বেশকিছু জঙ্গিবাদি দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল ওই গ্রুপের জেএমবির একজন দুর্ধর্ষ জঙ্গি দারুসসালামের আস্তানায় অবস্থান করছে। সে তথ্যের ভিত্তিতে রাত ১টায় এখানে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানের শুরুতে ওই ছয়তলা ভবনের ৫ম তলা থেকে জঙ্গিরা বেশ কয়েকটি আইইডি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে আমাদের লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে। সে সময় জঙ্গিদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার গুলি বিনিময় হয়।
দারুসসালামের আস্তানায় অভিযান চলমান আছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এ এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। আশেপাশের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ফাইনাল অভিযান শুরু হবে।
তিনি বলেন, ভেতরে কতজন জঙ্গি অবস্থান করছে এ বিষয়টি আমরা এখনও নিশ্চিত নই। জঙ্গির ছোঁড়া বোমা কিংবা গুলি বিনিময়ে এখনও কোনো ক্যাজুয়ালিটির খবর পাওয়া যায়নি।
ভোর পৌনে ৫টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি ঘটনাস্থলে এসে ওই ভবনের সামনে পানি নিক্ষেপ করে চলে যায়। এ বিষয়ে তিনি বলেন, জঙ্গিরা ভেতর থেকে কিছু লিক্যুইড পদার্থ নিক্ষেপ করে। এসব দাহ্য পদার্থ কি না আমরা নিশ্চিত নই, তবে ঝুঁকি এড়াতে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা পানি দিয়ে সেগুলো ধুয়ে দিয়েছেন।
ওই ফ্ল্যাটে কাউকে জিম্মি করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনও কোনো জিম্মির তথ্য নেই। তবে ভবনের অন্যান্য ফ্ল্যাটে যারা আছেন তাদেরকে খুব তাড়াতাড়িই নিরাপদ অবস্থায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে। তারপর আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী চূড়ান্ত অভিযান পরিচালিত হবে।
জেবি/জেএইচ
মন্তব্য করুন