১৬তম দিনে নতুন বই ১০২
বৃহস্পতিবার ছিলো অমর একুশে বইমেলার ১৬তম দিন। এদিন মেলায় নতুন বই এসেছে ১০২টি। এর মধ্যে ২৯টির মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
বিকেল চারটার দিকে মেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় 'সত্তর দশকের কবিতা' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবি মুজিবুল হক কবির। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কবি ইকবাল হাসান এবং ড. খালেদ হোসাইন।
সভাপতিত্ব করেন কবি অসীম সাহা।
আলোচনায় কবি মুজিবুল বলেন, সমকালীন অনুষঙ্গ, প্রসঙ্গ, সঙ্গ ও দর্শন সত্তরের কবিতাকে দিয়েছে নতুন মাত্রা, নতুন স্বাদ। যুগের অস্তিত্ব, সংকট, প্রগতি, স্ফুরণ, মনোজগৎ ও বহির্জগতের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সত্তরের কবিতায় প্রবলভাবে উপস্থিত। বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের মতো গৌরবময় চেতনাকে ধারণ করেই সত্তর দশকের কবিরা স্বপ্নময় স্বদেশভূমিকে নিয়ে কবিতা, স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণার কবিতা, রোমান্টিক ধারার কবিতা, দর্শন ও মিথপুরাণের অনুষঙ্গ নিয়ে কবিতা নানা আঙ্গিকে নির্মাণ করেছেন।
আলোচকবৃন্দ বলেন, বাংলা সাহিত্যের কোনো দশকই সত্তরের দশকের মতো এতো কবিকে ধারণ করেনি। এ সময়ের কবিরা নির্মাণ করেছেন নিজস্ব একটি কাব্যভাষা যা পঞ্চাশ বা ষাটের দশক থেকে খুবই আলাদা। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভের উচ্ছ্বাসের পাশাপাশি আমাদের চারপাশ ঘিরে মূল্যবোধের যে অবক্ষয় এবং স্বপ্নভঙ্গের যে বেদনা সেটাও প্রতিফলিত হয়েছে সত্তর দশকের কবিতায়। তবে শুধু সংকট নয়, ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার আলোতেও উজ্জ্বল সত্তর দশকের কবিতা।
সভাপতির বক্তব্যে কবি অসীম সাহা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর আমাদের ভেতরে তীব্র আবেগ জেগে উঠেছিল; তারই প্রেরণায় কবিতাজগতেও বিপুল সাড়া জেগেছিল। কিন্তু এ আবেগের তীব্রতা বাস্তবের কষাঘাতে দ্রুতই স্তিমিত হয়ে আসে। তবে এ সময়ের কবিদের মধ্যে অনেকেই বিস্ময়কর সব পঙ্ক্তি রচনা করেছেন যা আজো আমাদের প্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করে।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল সাইমন জাকারিয়ার পরিচালানায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ভাবনগর ফাউন্ডেশন’-এর শিল্পীদের পরিবেশনা। এছাড়া সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী মীনা বড়–য়া, বুলবুল ইসলাম, ফারহানা ফেরদৌসী তানিয়া, শুভ্রা দেবনাথ, অভিলাষ দাস এবং নিশি কাওসার।
শুক্রবার মেলা শুরু হবে সকাল এগারোটায়। চলবে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত।
এসজে/
মন্তব্য করুন