• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

দেশে প্রতি চারজনে একজন খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার শিকার

মাইদুর রহমান রুবেল.

  ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৭:৩৮

বাংলাদেশে প্রতি চারজনে একজন খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার শিকার। সে হিসেবে চার কোটি মানুষ এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত খাদ্য থেকে বঞ্চিত। এরমধ্যে আবার এক কোটি ১০ লাখ মানুষের খাদ্য সংকট প্রকট। যার সবচে’ বড় শিকার শিশুরা।

প্রয়োজনীয় খাদ্যের অভাবে শহরের বস্তিগুলোতে বসবাসকারী শিশুদের অর্ধেকেরই শারীরিক ও মানসিক বিকাশ স্বাভাবিকের চে’কম। সারাদেশে ৫ বছর বয়সী এ ধরনের শিশুর সংখ্যা ৩৩ শতাংশের বেশি। এসব শিশুদের মধ্যে ৩৬ শতাংশই অপুষ্টিতে ভুগছে আর মারাত্মক অপুষ্টির শিকার হচ্ছে ১৬ শতাংশ শিশু। এছাড়া প্রজননে সক্ষম নারীদের চারজনের একজন অপুষ্টিতে ভোগে।

খাদ্য মানুষের প্রথম মৌলিক অধিকার হলেও অনেকে তা জানেনই না। অধিকার মানেই তাদের কাছে সংগ্রাম।

এমন সংগ্রামী মানুষদেরই একজন তহুরা বেগম। রোদের তাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উত্তপ্ত হয় তহুরা বেগমের উনুন। তরকারির ব্যবস্থা না হলেও চালের যোগার হয়েছে। যা দিয়েই চলছে পেট ভরার আয়োজন। আর ভাতের প্লেটে লাউয়ের ডগার মতো সুমির লিকলিকে আঙ্গুল তার মধ্যেই স্বাদ খোঁজে। স্বাভাবিক জীবনযাপনে একজন মানুষের প্রতিদিন সর্বনিম্ন দরকার ১৮শ’ কিলো ক্যালরি। কিন্তু বর্তমান চিত্র বলছে এ ক্যালরির অর্ধেক জোটে দেশের বড় এক জনগোষ্ঠীর।

বন্যা-খরা ও মঙ্গা কাটিয়ে বাংলাদেশ যখন খাদ্য উৎপাদনে সাফল্য অর্জন করছে তখনো দেশের বড় একটি অংশ, খাদ্য সংকটে জর্জড়িত। ফলে অপুষ্টির শিকার হচ্ছে শিশুদের বড় একটি অংশ। তিন বেলা খাবার যাদের ঠিকমতো জোটে না, বৈচিত্র্যময় খাবার যেনো তাদের কাছে স্বপ্নের মতো।

এদিকে ডব্লিওএফপি’র তথ্য মতে, দেশের ৪ ভাগের ১ ভাগ মানুষ পর্যাপ্ত পুষ্টি থেকে বঞ্চিত।

তবে দেশে শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করে তিনশ’র বেশি এনজিও। তারপরও শিশুরা এমন অপুষ্টির শিকার কেনো এমনটাই এখন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে শিশু অধিকার ফোরামের সমন্বয়কের কাছে।

এ বিষয়ে মানবাধিকার বিশ্লেষক আলী আসগর খান বলেন, শিশুরা যেহেতু নিজেদের অধিকার বুঝে নিতে পারে না, তাই রাষ্ট্রের উচিত তাদের অধিকার নিশ্চিত করা। আর খাদ্যের অধিকার নিশ্চিত করা আরো জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

এছাড়া মানুষের অধিকার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো বক্তৃতা-বিবৃতি দিলেও তা সাধারণের কাছে পৌঁছে না। আর পৌঁছানের কথা হতদরিদ্ররা তাদের নাগাল পায় না।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন পর্যাপ্ত বরাদ্দ, সচেতনতা ও জবাবদিহিতা ছাড়া, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

আরকে/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh