৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছে ৫০ লাখ পরিবার
ফেয়ার প্রাইজ কার্ডের মাধ্যমে আগামী মাস থেকে ৫০ লাখ পরিবার ৩০ কেজি করে চাল পাবে জানালেন খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
বললেন, দুর্যোগের সময় বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে ধান, চাল সংরক্ষণ করতে সরকার ‘মডার্ন ফুড স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিজ’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর মাধ্যমে প্রায় ৫ লাখ ৩৫ হাজার টন ক্ষমতা সম্পন্ন ৮টি খাদ্য গুদাম তৈরী হবে। এছাড়া পারিবারিক পর্যায়ে দুর্যোগপ্রবণ ও উপকূলীয় অঞ্চলে ৫ লাখ পারিবারিক সাইলো বিতরণ করা হবে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে খাদ্য অধিদফতর ও মদিনা পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজের মধ্যকার চুক্তি সই অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ২০ লাখ টন খাদ্য-শস্য মজুদ করার গুদাম আছে। আগামী ২০১৮ সালে এটি ২৫ লাখ টন এবং ২০২৫ সালে ৩৫ লাখ টনে উন্নীত হবে।
এদিকে উন্নত খাদ্য মজুদকরণের মাধ্যমে দুর্যোগের সময় পর্যাপ্ত জরুরি খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার তৈরীতে সংস্থাটি ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও খরা দেখা দিচ্ছে। ফলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। তাই উন্নত খাদ্য মজুদকরণের মাধ্যমে দুর্যোগের সময় পর্যাপ্ত জরুরি খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করতে সরকার ‘মডার্ন ফুড স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিজ’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এতে ২ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে দেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংক।
মন্তব্য করুন