শুরুটা সাতচল্লিশেই
শুরুটা সাতচল্লিশেই। দেশভাগের পরেই বাঙলা ভাষার ওপর আঘাত আসে। ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে বাঙালি জাতি। পুঞ্জিভূত ক্ষোভ ধীরে ধীরে রূপ নেয় আন্দোলনে। ভাষা আন্দোলনের সে লড়াইয়ের সঞ্চিত শক্তিই পরবর্তীকালে গণঅভ্যুত্থান প্রেরণা যুগিয়েছে। সত্তরের নির্বাচন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ সব জাতীয়তাবাদী আন্দোলনেই পথ দেখিয়েছে আলোকবর্তিকার মত।
মাতৃভাষা বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করতে পথে নেমেছিল বাঙালি ছাত্রসমাজ। সংগঠিত সে আন্দোলনকে ঠেকাতে একুশে ফেব্রুয়ারি প্রথম গুলি চালানো হয়। সেদিন শহীদ হয়েছিলেন রফিক, সালাম, বরকত, জব্বার, শফিউর। কিন্তু তার আগে থেকেই আন্দোলন তীব্র হচ্ছিল। সংগঠিত হচ্ছিলো ছাত্রসমাজ।
গভীর বেদনা ও মহিমায় ভাষা আন্দোলন ইতিহাসের পাতায় রক্তের অক্ষরে লেখা হয়। ভাষা শহীদদের আত্মদান কিংবদন্তী রূপ লাভ করে। ভাষা আন্দোলন একটি ধ্বনি, একটি প্রতীকে পরিণত হয়েছে। পরিণত হয়েছে জাতির জাগরণের প্রতীকে।
ফেব্রুয়ারি মাস বাঙালির প্রত্যয়বদ্ধ হবার মাস। সব অপশক্তিকে রুখে দিতে শপথ নেয়ার মাস ফেব্রুয়ারি। বাংলা ভাষা সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে দৃপ্ত পদক্ষেপ নেয়ার মাস।
এসজে/এমকে
মন্তব্য করুন