• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কয়েকটি স্থানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, জামালপুরে ট্রেন চলাচল বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক
  ৩০ জুলাই ২০১৬, ১১:৩৮

রেল লাইনের ওপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ায় শুক্রবার রাত থেকে জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

জামালপুর রেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুল ইসলাম মজুমদার জানান, জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ রেলপথের দুরমুঠ, ইসলামপুরসহ কয়েকটি স্থানে রেল লাইন বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় রাতেই ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

এদিকে, জামালপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ১১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ৬টি উপজেলার ৫০ টি ইউনিয়নের আড়াইশ গ্রামের প্রায় তিন লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।

অন্যদিকে, টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে লালমনিরহাটের বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ কিছুটা কমলেও ধরলার পানি বিপদসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার ৫টি উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের অন্তত ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন ।

টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। পদ্মার ভাগ্যকুল পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে পদ্মার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের তিনটি উপজেলা টঙ্গিবাড়ী, লৌহজং ও শ্রীনগরের ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। ফরিদপুরে পদ্মা ও আড়িয়ালখাঁসহ সব নদ-নদীর পানি বেড়েছে। পদ্মার পানি বিপদসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ।

এছাড়া, বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের তীব্র সংকট। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দূর্গতদের জন্য শুকনো খাবারের পাশাপাশি রুটি বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh