• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

ছোট্টমণিদের হাতেও রক্তিম ফুল

হোসাইন তারেক

  ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৩:০৭

বিজয়ের ৪৫ বছরে শীতের সকালে বড়দের সঙ্গে স্মৃতিসৌধে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে এসেছে শিশুরা। গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে তারা স্মরণ করে ১৯৭১-এর বীর শহীদদের। যাদের রক্তের বিনিময়ে আজকের এ লাল-সবুজ পতাকা। শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দীর্ঘ সারিতে অপেক্ষা করতে দেখা যায় হাজারো শিশুকে। ছোট হাতে রক্তিম ফুল নিয়ে কেউ এসেছে বাবা-মায়ের হাত ধরে, কেউবা পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে।

সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে এবারই প্রথম এসেছে অনেকেই। এর মধ্যে রয়েছে তাহমিদও। বাবা-মায়ের সঙ্গে প্রথমবার স্মৃতিসৌধে এসেছে ১০ বছরের এ স্কুলছাত্র। তবে মুক্তিযুদ্ধ কী, কবে হয়েছে জানা নেই তার। তারপরও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে ভুল করেনি এ ছোট্টশিশু। বাবার হাত ধরেই সে একটি গোলাপ ছড়িয়ে দিয়েছে শহীদ বেদিতে।

জানতে চাইলে তাহমিদ বলে, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। আজ আমার অনেক ভালো লাগছে এখানে এসে। এখন থেকে সব সময় আসবো। কারণ আমি আমার দেশকে অনেক ভালোবাসি।’

শুধু তাহমিদই নয়, এমন হাজারো শিশু আজ শহীদদের স্মরণ করছে গভীর শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞতায়। তারাও চায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করতে যথাযথ মর্যাদায়। বাবার সঙ্গে স্মৃতিসৌধে আসা তৃতীয় শ্রেণিতে পডুয়া অনিক বলে, ‘বাবার মুখে মুক্তিযুদ্ধের অনেক গল্প শুনেছি। তবে কখনও শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ দেখিনি। আজ শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে পেরে আমি খুশি।’

সন্তানদের নিয়ে নবীনগর থেকে আসা চাকরিজীবী আব্দুর রহিম জানালেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বহন করবে। তাদের মাধ্যমেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বাংলাদেশের বুকে হাজার হাজার বছর লালিত হবে। শিশুরা যাতে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ভুল ধারণা না পায় বা ভুল পথে না যায় সে জন্যই মূলত তাদের সঙ্গে নিয়ে আসা প্রয়োজন।

মানিকগঞ্জ থেকে বাবার সঙ্গে আসা চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সায়মা বলে, ‘টিভিতে অনেকবার স্মৃতিসৌধ দেখেছি। কিন্তু এইবারই প্রথম এইখানে এলাম। অনেক ভালো লাগছে। আমরা আমাদের যুদ্ধের গল্প শুনেছি। আজ নিজে এসেছি শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে।’

এভাবে অনেক শিশু বাংলার সোনার ছেলেদের শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে এসেছে জাতীয় স্মৃতিসৌধে। তীব্র শীতও তাদের দেশপ্রেম দমাতে পারেনি।

এইচটি/ এস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh