• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সেনাবাহিনী চায় আত্মসমর্পণ, ইয়াহিয়ার টালবাহানা

অনলাইন ডেস্ক
  ১১ ডিসেম্বর ২০১৬, ০৯:২৫

একাত্তরের এদিনে ঢাকা জয় করতে ট্যাংকসহ নানা আধুনিক সমরাস্ত্র নিয়ে এগিয়ে আসে বাংলার মুক্তিসেনারা। হিলি সীমান্তে পাক সেনারা মিত্রবাহিনীর প্রচন্ড প্রতিরোধের মুখে পড়ে। অন্যদিকে জাতিসংঘে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পাঠানো রাও ফরমান আলীর আত্মসমর্পণের প্রস্তাব নাকচ করেন ইয়াহিয়া খান। একাত্তরের বিজয় মাসের দিনটি সম্পর্কে জানাচ্ছেন নুসরাত জাহান সিনথী।

একাত্তরের ১১ ডিসেম্বর, চারদিকে তখন পাকিস্তানের পরাজয়ের ধ্বনি। মাতৃভূমি শত্রুমুক্ত করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তুমুল যুদ্ধ চালিয়ে যায় বাংলার সাহসী সন্তানরা। বাঙালির তীব্র প্রতিরোধের মুখে ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়ছিল পাকবাহিনী এবং তাদের এদেশীয় দোসররা। এদিন ঢাকা বিজয়ের লক্ষ্যে বিপুল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চারদিক থেকে ধেয়ে আসছিল মুক্তিসেনারা।

গা বাঁচানোর কোনো পথ না পেয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জাতিসংঘের মহাসচিব উ থান্টের কাছে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব পাঠান মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। অন্যদিকে পরাজয় ঠেকানো এবং আত্মসমর্পণ না করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালায় নির্লজ্জ ইয়াহিয়া। এদিন রাও ফরমান আলীকে এক বার্তায় ভারতীয় জেনারেল মানকেশ জানান, “পালিয়ে যাওয়ার যে কোনো প্রচেষ্টার পরিনামই হবে ভয়াবহ।’

অন্যদিকে, ইয়াহিয়া বলেন, ‘আমি সাধ্যমত পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্কট নিরসনের চেষ্টা করেছিলাম। এখন সব দায়ভার আমাকেই নিতে হচ্ছে। এই মুহূর্তে একজনই পারেন দুই পাকিস্তানকে টিকিয়ে রাখতে। কিন্তু তিনি কি সেটা করবেন?’

এরই মাঝে কাদের সিদ্দিকী নিয়ন্ত্রিত টাঙ্গাইলের মধুপুর অঞ্চলে মিত্র বাহিনীর ৭০০ সৈন্য অবতরণ করে। পাকিস্তানি ব্রিগেডের সঙ্গে চলে দিনব্যাপী যুদ্ধ।

এদিন, ঢাকায় বেলা ৩টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সান্ধ্য আইন জারি করা হয়। কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্রই সামান্যতম মনোবল ভাঙতে পারেনি মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর অকুতোভয় বীর সেনাদের। চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনতে এসময় পাক হানাদারদের ওপর আক্রমণ আরো জোরালো হয়।

এস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh