• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ভোলায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিফলক এখনো অসমাপ্ত

অমিতাভ অপু, ভোলা

  ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ২৩:৩৪

দ্বীপ জেলা ভোলায় স্বাধিকার আন্দোলনে বুলেটের সামনে বুক উঁচিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মোকাবেলা করেছেন মুক্তিকামী বীর সন্তানরা। বাংলাবাজারের যুদ্ধ, ঘুইংগারহাটের যুদ্ধ, দেউলার যুদ্ধ আজও অম্লান। এসব যুদ্ধ বুকের রক্ত দিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের মোকাবেলা করলেও স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা সঠিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিফলক নির্মাণের কাজও অসমাপ্ত রয়েছে।

সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র সৌরভ গাঙ্গুলী। স্কুল যেতে ও বাড়ি ফেরতে প্রতিদিন একবার হলেও ওই ফলকটির দিকে তাকায়। তার মনে প্রশ্ন, ফলকটি কেন অসমাপ্ত? শিশু সৌরভের এ প্রশ্নের উত্তর তার গৃহশিক্ষক দিতে পারেননি। ওর পিতা একজন আইনজীবী। তিনিও দিতে পারেননি প্রশ্নের উওর। এমন প্রশ্ন শুধু সৌরভের নয়, রয়েছে অনেকের।

এ প্রতিবেদক সৌরভের উত্তর খুঁজতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নেতাদের কাছে প্রশ্নটি তুলে ধরেন। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার দোস্ত মাহামুদ ও ডেপুটি কমান্ডার সফিকুল ইসলাম জানান, আসলে ওই তালিকাটি মন্ত্রণালয়ে থেকে পূর্ণাঙ্গ করে দেয়ার কথা ছিল। তালিকা না আসায় ফলকটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। একই কথা জেলা প্রশাসক মোহাং সেলিম উদ্দিনেরও।

এদিকে ভোলায় মুক্তিযুদ্ধকালীন কতজন মুক্তিকামী বীর সেনা মারা গেছেন তার সঠিক তথ্যও সংরক্ষণ করা হচ্ছে না। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিটেও ওই তালিকা নেই। তবে এমন তালিকা মন্ত্রণালয়ে থাকার কথা বলে দায় এড়ান মুক্তিযোদ্ধা সংসদ স্থানীয় ইউনিট প্রধানরা।

২০০৫ সালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি ফলক নির্মাণ করা হয়। অর্ধেকাংশে মাত্র ৩৯ জনের নাম প্রকাশের পর তা ১১ বছর ধরে অসমাপ্ত রয়েছে। জেলা গণপূর্ত বিভাগের সূত্র জানায়, ওই ফলকে ১০৯ জনের তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল। নামের তালিকা নিয়ে অভিযোগ ওঠায় ৭০ জন শহীদের নাম আর ফলকে তোলা হয়নি।

ভোলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডিপুটি কমান্ডার সফিকুল ইসলাম জানান, তালিকা প্রকাশের দায়িত্ব নেয় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়। নির্দেশ পেলে তারাও তালিকা প্রকাশ করতে পারতেন বলেও জানান। ৪০/৪১ জনের তালিকা নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়।

বর্তমানে স্মৃতি ফলকে ৩৯ জনের মধ্যে বেসরকারি পর্যায়ের দৌলতখান উপজেলায় ৯ জন, লালমোহনে ৩ জন, তজুমদ্দিনে ২ জন রয়েছেন। এ ছাড়া সশস্ত্র বাহিনী ৭ জন। এদের মধ্যে দৌলতখানে ৫ জন, চরফ্যাশনে ১ জন, ভোলা সদরে ১ জন রয়েছেন।

বিডিআর বাহিনীর তালিকায় রয়েছে ১৬ জন। এদের মধ্যে ভোলা সদরে ১১ জন, দৌলতখানে ৩ জন, বোরহান-উদ্দিনে ২ জন রয়েছেন। পুলিশ বাহিনীর রয়েছে ২ জন, এরা হচ্ছেন ভোলা সদরে ১ ও চরফ্যাশনে ১ জন।

এসএস/এসজেড

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh