• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

‘ভয়াবহ হামলা থেকে দেশ রক্ষা পেয়েছে’

অনলাইন ডেস্ক
  ২৬ জুলাই ২০১৬, ১১:১৬

রাজধানীর কল্যাণপুরের ‘জাহাজ বিল্ডিং’ নামে একটি বাসায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জঙ্গিবিরোধী সফল অভিযানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অপারেশন স্টর্ম ২৬’ পরিচালনার ফলে দেশ আবারো ভয়াবহ হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছে।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে চলতি বছরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গোয়েন্দা রিপোর্টের আলোকে ঠিক সময়ই সফল অভিযান করতে পেরেছে। তাদের এই অপারেশনের ফলে দেশ ভয়াবহ জঙ্গি হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘গুলশান, শোলাকিয়া, কল্যাণপুরের মতো সন্ত্রাসী হামলা মোকাবেলায় সরকার সজাগ রয়েছে। জনগণের জান-মাল রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। সমগ্র জাতিও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। তাই কোনো অবস্থাতেই আমরা এ দেশকে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হতে দেবো না।’

দেশব্যাপি জঙ্গিবিরোধী কমিটি গঠন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকদের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। আপনাদের উদ্যোগে প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ও সন্ত্রাস ও জঙ্গিবিরোধী কমিটি গঠন করতে হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুশিল সমাজের লোকেরা এর নেতৃত্বে থাকবেন।’

চলতি অর্থবছরের(২০১৬-১৭) বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এবারের এতো বড় বাজেটের লক্ষ্য একটাই, আমরা প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ২ ভাগে উন্নীত করতে চাই। ২০২১ সালের আগেই দারিদ্র্য আট থেকে ১০ ভাগ কমানো হবে।

‘কোনো অঞ্চল অন্ধকারে থাকবে না। ১০৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এখন ৭৬ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে।’

দেশে বর্তমানে দুই লাখ ৮০ হাজার গৃহহীন রয়েছে উল্লেখ করে দেশের প্রতিটি এলাকায় জেলা প্রশাসকদের গৃহহীনদের তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘সরকারের লক্ষ্য- দেশে একজনও গৃহহীন থাকবে না। আমরা তাদের প্রত্যেকের জন্য বাসস্থান, ঋণ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে চাই। যাতে তারা এগুলো কাজে লাগিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে।’

চার দিনের এই সম্মেলনে এবার ১৮টি কার্য-অধিবেশনে ৩৩৬টি প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে। সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা সম্মেলন কক্ষে হবে বিভিন্ন অধিবেশন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এবারের জেলা প্রশাসক সম্মেলনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বলেন, বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিরা যেসব প্রস্তাব করেছেন, সেগুলো নিয়ে সম্মেলনে বিস্তারিত আলোচনা হবে। ডিসিরা মাঠ পর্যায়ে যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন, সেগুলো ছাড়াও বিদ্যমান সম্ভাবনা সম্পর্কে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিবদের উপস্থিতিতে আলোচনা করে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা দিক নির্দেশনা পাবেন। এটা মাঠ প্রশাসনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। নাগরিক সেবাগুলো কীভাবে আরও দ্রুত করা যায় সে বিষয়েও নির্দেশনা পাবেন তারা।

এবার ৩৯টি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত ৩৩৬টি প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সবচে বেশি, ২৭টি প্রস্তাব এসেছে ভূমি মন্ত্রণালয় বিষয়ে। আর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত ২৫টি প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসিরা। সম্মেলনে ১৮টি কার্য-অধিবেশনের বাইরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের সৌজন্য সাক্ষাৎ, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে আলোচনা ছাড়াও একটি সমাপনী অধিবেশন থাকবে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh