• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের নকল প্যাকেটে খাদ্যপণ্য, ইচ্ছেমতো মেয়াদের তারিখ

জাহিদ রহমান

  ১৩ অক্টোবর ২০১৮, ২৩:১৯

জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলোর প্যাকেট নকল এবং প্যাকেটের গায়ে নিজেদের ইচ্ছেমতো মেয়াদের তারিখ বসিয়ে অসাধু কিছু ব্যবসায়ীর মাধ্যমে তা বাজারে ছেড়ে দিচ্ছে ভেজাল খাবার উৎপাদনকারীরা। অথচ এদের অনেকেরই আবার বিএসটিআইয়ের মান সনদও আছে। বিএসটিআই বলছে, সব শর্ত পূরণ করলেই মেলে ছাড়পত্র আর শর্ত ভাঙলে জোটে জরিমানা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর সোয়ারিঘাটে দেখা যায়, ছোট্ট একটি ঘরে প্যাকেটের গায়ে বিভিন্ন মেয়াদের সিল মারছেন এক নারী। মাসে সাত হাজার টাকা বেতনে এক মাস পরের সময় দিয়ে সিল লাগাচ্ছেন। কোথায় কারখানা, কি পণ্য, তা জানা নেই তার! পাশের ঘরটিও একটি কারখানা। তবে মাঝে দেয়াল তুলে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অন্যপাশ দিয়ে ঢুকতেই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসে। প্যাকেটের গায়ে লেখা পণ্য ও কারখানায় তৈরি বিস্কুটের নাম আলাদা। এভাবেই চলছে ভোক্তাদের ঠকানো। বিশাল কারখানাজুড়ে চলছে এমন ধোঁকাবাজি। কারখানায় নামি-দামি বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেটের আদলে তৈরি করা বিস্কুটে মোড়কজাত করা হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর বিস্কুট।

আরটিভির ক্যামেরা দেখে কারখানার মালিক নিজেকে ম্যানেজার দেলোয়ার দাবি করে জানান, মালিকের নাম তিনি জানেন না। কখনও দেখেননি।

এদিকে মিরপুর সেকশন ৭ এ দেশবন্ধু ব্রেড এন্ড বিস্কুট কারখানা ঘুরে দেখা যায়, কারখানায় আগে তৈরি পণ্যের প্যাকেটের লেভেলে উৎপাদনের তারিখ পাল্টে দেয়া হয়েছে নতুন তারিখ।

এসময় কারখানার একজন শ্রমিক বলেন, আমরা আজ বিস্কুটগুলো বানাচ্ছি। তাই আগামীকাল থেকে ১ মাসের তারিখ দেয়া হবে।

চোখের সামনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি হলেও কাগজপত্র ঠিক থাকার দাবি করেন কারখানার মালিক।

এসব অনিয়ম বন্ধে প্রশাসনের সহযোগিতা চায় বেকারি এসোসিয়েশন। বেকারি এসোসিয়েশন পশ্চিমের সাধারণ সম্পাদক মো. আইয়ুব আলী বলেন, রাজধানীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনেক কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব কারখানার কোনও পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। বিএসটিআইএর লাইসেন্স নেই। সরকারি কোনও কাগজপত্র নেই। তারা ভ্যাট দেয় না। আয়করও দেয় না। যেসব প্রতিষ্ঠান নিয়ম নীতিমালা মেনে ব্যবসা করছে অবৈধ কারখানার জন্য তাদের ব্যবসাও মন্দা যাচ্ছে।

প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাব থাকলেও মান নিয়ন্ত্রণে নিজেদের কঠোর অবস্থানের কথা দাবি করলো বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই)।

বিএসটিআই এর পরিচালক (সিএম) এস এম ইসহাক আলী বলেন, আমরা বাজার মনিটরিং করি। বাজার মনিটরিংয়ের পাশাপাশি ভোক্তাপণ্য বাজার থেকে এনে ল্যাবে পরীক্ষাও করে থাকি। কিছু প্রতিষ্ঠান আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতারাতি ধনী হওয়ার জন্য অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করে বাজারজাত করছে। তারা আইনের তোয়াক্কাও করছে না।

আরও পড়ুন :

এমসি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh