• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে রোহিঙ্গা ইস্যু

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৩ অক্টোবর ২০১৮, ১৫:৫৬

আসন্ন নির্বাচনে রোহিঙ্গা ইস্যু প্রভাব ফেলতে পারে। কম হলেও রোহিঙ্গারা নির্বাচনী মাঠে একটা ইস্যু হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। ভবিষ্যতে মিয়ানমারে তাদের হয়তো ফেরানো সম্ভব নাও হতে পারে। তবে মানবিক কারণেই তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত সবাইকে। তাদের খাদ্য, নিরাপদ বাসস্থান ও নারীবান্ধব পদক্ষেপ জরুরি। বিশেষ শিশুদের জন্য নিরাপদ ভবিষ্যৎ গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

শনিবার সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘মাইগ্রেশন চ্যালেঞ্জস এপ্রোচস ইন দ্য ইস্ট এন্ড দ্য ওয়েস্ট’ শীর্ষক আলোচনায় এসব কথা উঠে এসেছে।

ডয়েচে ভেলের বাংলা বিভাগের প্রধান দেবারতি গুহের সঞ্চালনায় এ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জার্মান গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলের প্রধান সম্পাদক ইনস পল এবং বাংলাদেশের বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী।

আলোচনা সভায় ইনস পল বলেন, রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশে বড় প্রভাব ফেলেছে। তারা মৌলিক অধিকারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত। হতে পারে তারা হয়তো ফিরে যাবে না বা যেতে পারবে না। কিন্তু তাদের মানবিকভাবেই দেখতে হবে।

তিনি বলেন, জার্মানিতে আরব বিশ্ব থেকে প্রচুর শরণার্থী এসেছে। সরকার তাদের আশ্রয়ও দিয়েছে। কিন্তু মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি ভয়ও কাজ করছে। কারণ তাদের মধ্যে জঙ্গিবাদ ঢুকে পড়ার একটা অনিশ্চয়তা ছিল। ফলে জার্মান সরকার এ বিষয়ে কঠোর হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তাদেরকে আমরা জোর করে ফেরত পাঠাতে পারি না। তারা আসলে যাবে কোথায়। হতে পারে তারা একদিন ফেরত যাবে। কিন্তু ততদিন পর্যন্ত তাদের খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।

নিপীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হলে তাদের ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে আসবে।

আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ইস্যু কতটা প্রভাব ফেলবে এমন প্রশ্নে সিনিয়র সাংবাদিক তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, নির্বাচনে রোহিঙ্গা ইস্যু নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। তবে খুব বেশি নয়। কারণ, রোহিঙ্গারা যেখানে অবস্থান করছে, তা বাংলাদেশের এক কোণে। সেক্ষেত্রে এটা বড় ধরনের ইস্যু হবে না। তবে অল্প হলেও তার প্রভাব থাকবে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের সহায়তা করার পাশাপাশি তাদের দিকে নজরও রাখতে হবে। কারণ তাদের সঙ্গে জঙ্গিবাদের অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নজর রাখতে হবে। মানবিক কারণে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।

তৌফিক ইমরোজ খালিদী আরও বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসে মিয়ানমারের তুলনায় ভালো জীবন পেয়েছে। এ কারণে এখনও অনেকে বাংলাদেশে আসছে। তাদের অনেকেই কার্যত ফিরে যেতে চায় না।

উল্লেখ্য, আরব বিশ্বে সংকটের পর প্রায় ১০ লাখের বেশি শরণার্থী আশ্রয় পেয়েছে বিশ্বের চতুর্থ বৃহৎ অর্থনীতির দেশ জার্মানিতে। আর বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে আসা ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা এসেছে। এর সাত লাখই এসেছে গত এক বছরে।

আরও পড়ুন :

এসজে/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নিপুণের অর্থ লেনদেনের অডিও ফাঁস
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ডিপজলকে শোকজ
ইউপি নির্বাচনে এমপির হস্তক্ষেপের অভিযোগ, সুষ্ঠুভোট নিয়ে শঙ্কা 
রাত পোহালেই শিল্পী সমিতির নির্বাচন, আমেজ নেই এফডিসিতে
X
Fresh