• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নেপাল-ইথিওপিয়া যাচ্ছে বাংলাদেশি ডাক্তার উদ্ভাবিত নিউমোনিয়ার চিকিৎসা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০২ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:২৩

বাংলাদেশি ডাক্তার মোহাম্মদ জোবায়ের চিশতি উদ্ভাবিত প্লাস্টিক বোতলের সাহায্যে শিশুদের নিউমোনিয়ার চিকিৎসা পদ্ধতি যাচ্ছে বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশে। ইতোমধ্যে ইথিওপিয়া ও নেপাল এ চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণে আগ্রহ দেখিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে ইথিওপিয়ায় কাজ শুরু করেছে ডাক্তার চিশতির প্রকল্প।

এ সম্পর্কে মোহাম্মদ জোবায়ের চিশতি সম্প্রতি জানান- ‘প্লাস্টিক বোতলের সাহায্যে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ইথিওপিয়ার ২০টি হাসপাতালে প্রাথমিক কাজ শুরু করেছি আমরা। আগামী দুই মাসের মধ্যে এই চিকিৎসা পদ্ধতি চালু হবে এবং সম্পূর্ণভাবে চালু হতে দুই বছর সময় লাগতে পারে।’

চিশতি পাস্টিক বোতলের সাহায্যে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা উদ্ভাবনের বিষয়টি জানান গত বছরের অক্টোবর মাসে। তার এই উদ্ভাবন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সাড়া ফেলে।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বজুড়ে শিশু মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ নিউমোনিয়া। অথচ প্রচলিত পদ্ধতিতে এ রোগের চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল। এই পদ্ধতিতে শিশুদের কৃত্রিমভাবে শ্বাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় ভেন্টিলেটরের মাধ্যমে। বাজারে একেকটি ভেন্টিলেটরের দাম প্রায় ১২ লাখ টাকা।

বাংলাদেশি চিকিৎসক চিশতি এতো দামি ভেন্টিলেটরের পরিবর্তে ভিন্ন কিছু উদ্ভাবনের চেষ্টা করছিলেন। দীর্ঘ দুই বছর গবেষণার পর সফল হন তিনি। সাধারণ প্লাস্টিক বোতল ব্যবহার করেই ভেন্টিলেটরের কাজ করতে সমর্থ হন চিশতি। যাতে খরচ হয় মাত্র ১৬০ টাকা।

নিউমোনিয়া চিকিৎসায় তার উদ্ভাবিত কমদামী এই চিকিৎসা পদ্ধতিকে ইতিবাচকভাবেই নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে এই চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহারের সুযোগ মেলে।

প্লাস্টিক বোতলে নিউমোনিয়া চিকিৎসার সফলতা সম্পর্কে ড. চিশতি বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে দুই বছর এই পদ্ধতি ব্যবহার করে আমরা দেখেছি, এতে জটিল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত পাঁচ বছরের কমবয়সী ৭৫ শতাংশ শিশু মৃত্যু হার কমেছে।

নিউমোনিয়া চিকিৎসায় প্লাস্টিক বোতল ব্যবহারের পদ্ধতি হলো- প্রথমেই একটি প্লাস্টিক বোতলে পানি ভরে অন্যপ্রান্তের খানিকটা প্লাস্টিকের অংশ ডুবিয়ে দিতে হয় আরেকটি টিউবে। এতে দেখা যায়, বাচ্চারা অক্সিজেন টেনে নেয় একটি জলাধার থেকে এবং নিঃশ্বাস ছাড়ে একটি টিউবের মাধ্যমে যা একটি পানির বোতলে ডোবানো থাকে। ফলে ওই বোতলে বুদবুদ তৈরি হয়। এই বুদবুদ থেকে সৃষ্ট চাপ ফুসফুসের মধ্যে ছোট বায়ুথলিগুলোকে খুলে রাখতে সাহায্য করে। এভাবেই বেঁচে যায় শিশুরা।

আরও পরুন :

ডি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
চোখের চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাচ্ছেন সাকিব
X
Fresh