• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

আশ্বিন মাসে এ কেমন গরম!

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৯:০৩

আজ ৪ আশ্বিন। ভাদ্র ও আশ্বিন মিলেই শরৎকাল। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপদাহ থাকলেও শরৎ এ তেমন তাপদাহ থাকে না বললেই চলে। শরৎকে ঋতুর রাণী বলা হয়। এসময় কাশফুল ফোটে। আকাশে সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায়। কিন্তু জোর বাতাস, পাগলা হাওয়ার নাচনও বড় একটা দেখা যাচ্ছে না। উল্টো আশ্বিন মাসের শুরু থেকেই প্রবহমান এ তাপদাহ প্রকৃতিকে রুদ্র করে তুলেছে। গরমে চারপাশ খাঁ খাঁ করছে। পানি শূণ্যতাজনিত কারণে হিটস্ট্রোকসহ নানা রোগের শঙ্কায় ভুগছে জনসাধারণ।

আবহাওয়াবিদ বলছেন, এমন পরিস্থিতি আরও কমপক্ষে দুই দিন থাকবে। এর পরে তাপদাহ সামান্য হ্রাস পেতে থাকবে। যা মানুষের সহ্য ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাপমাত্রা ছিল ৩৬.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস, আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এছাড়া আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৬০ শতাংশ। এর আগে মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাঙামাটি ও কুতুবদিয়ায় ২৪.৫ শতাংশ।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান আরটিভি অনলাইনকে বলেন, তাপপ্রবাহ বাড়ার মূল কারণ হচ্ছে মৌসুমী বায়ু প্রবাহ দুর্বল হয়ে পড়েছে। আকাশ মেঘ মুক্ত। সেসঙ্গে বঙ্গোপসাগরে লঘু চাপ সৃষ্টি হয়েছে যা সুস্পষ্ট রূপ ধারণ করেছে। বঙ্গোপসাগরে কোনও সমস্যা হলে এ চাপ দেশের মৌসুমী আবহাওয়ার পরিবর্তন করে থাকে। যেহেতু আমাদের স্থলে নদী-নালায় প্রচুর পরিমাণ পানি রয়েছে। বায়ুর নিম্নস্থরে যেখানে আমরা বসবাস করি সেখানে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক রয়েছে। এ জলীয় বাষ্প থাকার কারণে রাতে তাপমাত্রা কমছে না এবং দিনে সূর্য কিরণের কারণে তাপমাত্রা বেশি হচ্ছে। এর ফলে মানুষের মাঝে গরমের অনুভূতি বৃদ্ধি পেয়েছে।
-------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : আগামী কয়েকদিন নড়িয়া উপজেলার ভাঙন বাড়বে
-------------------------------------------------------