দোকানে বাকি না দেয়ায় বাবা-ছেলেকে হত্যা: ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
কেরানীগঞ্জে বাবা-ছেলে হত্যা মামলায় ৫ জনকে ফাঁসির দণ্ড দিয়েছেন ঢাকার বিচারিক আদালত। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের প্রত্যেককে ৪০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া নিহতের আরেক ছেলে শাহজাহানকে জখম করার দায়ে ওই ৫ আসামিকে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের আরও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাভোগ করতে হবে।
বুধবার ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বজলুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় কারাগারে বন্দি তিন আসামি শফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম ওরফে নজু, মিস্টার ওরফে ছোট মিস্টারকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলার অন্য দুই আসামি মো. আরিফ ও মো. মাসুদ পলাতক রয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ১৯৯৩ সালের ১৩ জুলাই রাতে কেরানীগঞ্জের বরিশুর বাজারের পশ্চিম পাশে মালোপাড়া সংলগ্ন নিজ দোকানে ব্যবসায়ী শরীফের দুই শিশুপুত্র খোকন (৯) ও শাহজাহান (১২) বাবার জন্য রাতের খাবার নিয়ে আসে। বাবার কাছে রাতের পড়া শেষে তারা দোকানের পেছনের রুমে ঘুমিয়ে যায়। রাত আনুমানিক ৩/৪টার দিকে আসামিরা দোকানে এসে সিগারেট ও কিছু মালামাল বাকি চায়। শরীফ বাকিতে মাল বিক্রি করবে না বলে জানায়। পরে আসামিরা তাদের হাতে থাকা দা, চাপাতি দিয়ে তাকে কোপাতে শুরু করে। তার চিৎকারে তার শিশু দুই পুত্র এগিয়ে এসে বাবাকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করে। আসামিরা তাদেরকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে।
ওই ঘটনায় শরীফের ছেলে আব্দুর রহিম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল কবির ১৯৯৪ সালে ৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
আরও পড়ুন :
এসএস
মন্তব্য করুন