‘তিতাস কর্মকর্তার গুলশানে ডুপ্লেক্স, বনশ্রীতে ৬তলা বাড়ি’
প্রকৌশলী মহিদুর রহমান। চাকরি করেন তিতাস গ্যাসের মিটার সেকশনে। চাকরির সুবাদে তিতাস গ্যাস চুরি, মিটার টেম্পারিং, অবৈধ গ্যাস সংযোগসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত এই কর্মকর্তা। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক।
দুদক জানায়, প্রকৌশলী মহিদুর রহমানের সম্পদের প্রকৃত তথ্য না পাওয়া গেলেও, অভিযোগে যেটুকু বের হয়ে এসেছে, তাতে দেখা যায় তিনি ঢাকার একটি গুলশানে ডুপ্লেক্স বাড়ি, বনশ্রীতে ৬তলা বাড়ি ও গাজীপুরে জেরমা সিএনজি স্টেশনের মালিক। এনট্রাকো কোম্পানির কাছে থেকে সিএনপি পাম্প ক্রয় করেছেন তিনি। এছাড়াও নামে-বেনামে রয়েছে আরও সম্পত্তি।
-------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : রোহিঙ্গাদের স্থায়ী করবে না বাংলাদেশ: রয়টার্সকে পররাষ্ট্র সচিব
-------------------------------------------------------
প্রকৌশলী মহিদুর রহমানের নামে দুর্নীতির অভিযোগ গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যে দুদক তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে। দুদকের পরিচালক কাজী শফিকুল আলমের নেতৃত্বে উপ-সহকারী পরিচালক সাইদুজ্জামান অনুসন্ধানটি করছেন।
দুদক সুত্রে জানা যায়, এই কর্মকর্তা তিতাস গ্যাসে বিভিন্ন রকম অনিয়ম ও দুর্নীতির মূল হোতাদের একজন। দীর্ঘদিন তিনি এই দুনীর্তির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। তিনি নামে মাত্র চাকরি করেন। সারা দিন ব্যস্ত থাকেন গ্যাস চুরি, মিটার টেম্পারিং, অবৈধ গ্যাস সংযোগের কাজে। এতে সরকারকে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করে নিজে লাভবান হচ্ছেন।
দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক সাইদুজ্জামান আরটিভি অনলাইনকে বলেন, অভিযোগটি আমরা আমলে নিয়েছি। অনুসন্ধান চলছে। এখনও অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্পত্তির সব কাগজপত্র হাতে পাওয়া যায়নি। সম্পত্তির কাগজ হাতে পেলেই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যাবো। তবে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে তিতাস গ্যাসের প্রকৌশলী মহিদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি আরটিভি অনলাইকে বলেন, আমার দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা। দুদক থেকে আমাকে ডেকেছিলো। আমি আমার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিয়েছি। এখন দুদক সিদ্ধান্ত যা নেবে আমি তা মেনে নেবো।
আরও পড়ুন :
আরসি /জেএইচ
মন্তব্য করুন