বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন শেষে ঢাকায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
দুই দিনের সরকারি সফর শেষে নেপালে থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চতুর্থ বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ শুক্রবার বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি ফ্লাইট বিজি-১৮৭৪ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বাংলাদেশ সময় দুপুর সোয়া ১টার দিকে এ ফ্লাইট কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে আসে। ত্রিভুবন বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান নেপালের উপ-প্রধানমন্ত্রী ঈশ্বর পোখারেল ও নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস।
এর আগে সকালে সদস্য সাতটি দেশের নেতৃবৃন্দসহ প্রধানমন্ত্রী বিমসটেকের সমাপনী অধিবেশনে যোগদান করেন।
তিনি সামিট অব দ্য বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টোরাল টেকনিক্যাল এন্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক)-এর ৪র্থ সম্মেলনে যোগ দিতে গত বৃহস্পতিবার নেপাল যান।
-------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : শনিবার ঢাবিতে ‘৭ মার্চ ভবন’ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
-------------------------------------------------------
সেদিন বিকেলে সম্মেলনের উদ্বোধনী সেশন এবং শুক্রবার সকালে সমাপনী অধিবেশনসহ বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেন।
বিমসটেক সম্মেলনে প্রদত্ত ভাষণে শেখ হাসিনা মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল সৃষ্টি, বিনিয়োগ ও জ্বালানি খাতে যৌথ প্রচেষ্টা, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং অর্থায়ন প্রক্রিয়া গড়ে তোলার মাধ্যমে বিমসটেক ফোরামে সহযোগিতা সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি, ভুটানের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা দাসো শেরিং ওয়াংচুকের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এ উপ-আঞ্চলিক সংস্থাটি ১৯৯৭ সালের ৬ জুন ব্যাংকক ঘোষণার মধ্যদিয়ে গঠিত হয়। এ জোটের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা এই পাঁচটি দক্ষিণ এশিয়া এবং মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড এ দুইটি হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ।
আরও পড়ুন :
এমসি/জেএইচ
মন্তব্য করুন