• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

মানবপাচারের গডফাদার গ্রেপ্তার: সিআইডি

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২০ আগস্ট ২০১৮, ১৮:১৭

সাগর পথে মানবপাচারের গডফাদার আছেম। কক্সবাজার ও টেকনাফ দিয়ে সাগর পথে অবৈধভাবে শত শত মানুষকে মালয়েশিয়ায় পাঠাতেন। মালয়েশিয়ায় পাঠানো মানুষকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের শিক্ষক হলেও লোকচক্ষুর আড়ালে মোহাম্মদ আছেম (৩৫) এই অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।

আজ সোমবার (২০ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম এসব কথা জানান।

গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে সিআইডি মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে ৭, ৮ ও ১০ এর ধারায় উল্লাপাড়া থানায় মামলা করেন মামলা নম্বর ১১। বনানী থানায়ও একটি মামলা করা হয়েছে, যে মামলা নম্বর ০৩।

মোল্যা নজরুল আরও বলেন, আছেম দীর্ঘদিন ধরে সাগর পথে মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত। তার বাবা ও বড় ভাই মালয়েশিয়া দীর্ঘদিন ধরে থাকার সুবাদে সে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িয়ে পরে। কক্সবাজার ও টেকনাফের সাগর পথকে ব্যবহার করে সে শত শত মানুষকে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় পাঠিয়েছে।

তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে হাজার হাজার মানুষকে মালয়েশিয়া পাচার করেছে আছেমের চক্র। দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার-থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়ায় সাগর পথে মানবপাচার করে মুক্তিপণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছে সে।

তিনি আরও জানান, অবৈধভাবে পাঠানো এসব লোকজনকে আটক রেখে বাংলাদেশে তাদের পরিবার পরিজনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকাও আদায় করত তারা। আর টাকা না পেলে তাদের ওপর চলত অমানুষিক নির্যাতন। মুক্তিপণের টাকা আছেম নিজের অ্যাকাউন্টেই জমা রাখতো বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

তাকে আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের বাংলাদেশের প্রধান উল্লেখ করে সিআইডির এই অফিসার বলেন, আছেম ২০১০ সালে মানবপাচারের কাজ শুরু করে। আছেম ও তার ছোট ভাই জাভেদ মোস্তফা মিলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মানবপাচারের জন্য দালাল নিয়োগ করে। পরে মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের টেকনাফ থেকে ট্রলারে করে মিয়ানমার হয়ে থাইল্যান্ডের জঙ্গলে নেয়া হয়। সেখানে পাচারকৃত বাংলাদেশিদের নির্যাতন করে তাদের স্বজনদের কাছে মুক্তিপণ চাওয়া হয়। যারা মুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হয় তাদের থাইল্যান্ডের জঙ্গলে মেরে ফেলা হয়।

মোল্যা নজরুল আরও বলেন, আছেম পাচারের টাকা দিয়ে টেকনাফে বাড়ি ও জমি কিনেছে। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাতেও জমি কিনেছে। এগুলো সব অবৈধ টাকা।

উল্লেখ্য, গত পাঁচদিন আগে তাকে সিআইডি গ্রেপ্তার করেছিল। কিন্তু তিন দিনের মাথায় তার জামিন হলে সে বের হয়ে আসে। এরপর রোববার (১৯ আগস্ট) আবারও তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরসি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মানবপাচার রোধে টেকসই সমাধানে গুরুত্বারোপ পররাষ্ট্র সচিবের
ঝিনাইদহে মানবপাচার মামলায় ৩ জনকে যাবজ্জীবন 
প্রতারণা করে গড়া অর্থ-সম্পদ সব ফ্রিজ হবে : সিআইডি প্রধান
১১ দিন পর নাজমুলের মরদেহ পেল পরিবার
X
Fresh