আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
যুদ্ধাপরাধে দুই জনের রায় যেকোনো দিন
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মুড়াকরি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী ও কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার আমিনুল ইসলাম ওরফে রজব আলীর বিষয়ে যেকোনো দিন রায় ঘোষণা করা হবে।
আজ (বৃহস্পতিবার)আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল শুনানি শেষে এ মামলার রায় ঘোষণা অপেক্ষমান (সিএভি) রেখে আদেশ দেন।
এটি হবে যুদ্ধাপরাধের মামলার বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনালের ৩৫ তম রায়। আসামিদের সর্বোচ্চ সাজার আর্জি জানিয়ে প্রসিকিউটর রানা দাশ শুনানি করেন। আসামি পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম শুনানি করেন।
২০১৬ সালের ১ নভেম্বর এ দুজনের বিষয়ে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ দুজনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৬ সালের ১৮ মে এই দু’জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। সেই থেকে তারা পলাতক রয়েছেন।
------------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : বঙ্গবন্ধু হত্যায় খালেদাও জড়িত: প্রধানমন্ত্রী
------------------------------------------------------------------
আসামি লিয়াকত আলী ১৯৭১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের ছাত্র ছিলেন। যুদ্ধের সময় তিনি মুসলিমলীগের সদস্য হিসেবে ফান্দাউক ইউনিয়নে রাজাকারের দায়িত্বে ছিলেন। অন্যদিকে আসামি রজব আলী মুক্তিযুদ্ধের সময় ভৈরব হাজী হাসতম আলী কলেজের ইসলামী ছাত্র সংঘের কলেজ শাখার সভাপতি ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভৈরবে পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে রজব আলী এলাকায় আল বদর বাহিনী গঠন করেন।
তাদের বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগ হচ্ছে- ১৯৭১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর লিয়াকত ও রজব রাজাকার এবং পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে লাখাই থানার কৃষ্ণপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে গণহত্যা, লুটপাট চালিয়ে কৃষ্ণপুর গ্রামে নৃপেন রায়ের বাড়িতে রাধিকা মোহন রায় ও সুনীল শর্মাসহ ১৫ জন জ্ঞাত ও ২৮ জন অজ্ঞাত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের গুলি করে হত্যা করে। দুই ও তিন নম্বর অভিযোগে বলা হয় একই এলাকার চণ্ডীপুর ও গদাইনগর গ্রামে গণহত্যা ও লুটপাট করেছেন তারা। অভিযোগ চার. অষ্টগ্রাম থানার সদানগর গ্রামে শ্মশানঘাটে হত্যাকাণ্ড চালান তারা। অভিযোগ পাঁচ. ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানার ফান্দাউক গ্রামের বাচ্চু মিয়াকে অপহরণ এবং রঙ্গু মিয়াকে অপহরণ ও হত্যা করেছেন তারা। অভিযোগ ছয় ও সাত. অষ্টগ্রাম থানার সাবিয়ানগর গ্রামে চৌধুরী বাড়িতে ও সাবিয়ানগর গ্রামে খাঁ বাড়িতে হত্যার অভিযোগ।
আরও পড়ুন :
জেএইচ
মন্তব্য করুন