আজও রাস্তায় শিক্ষার্থীরা লাইসেন্স পরীক্ষা করছে
আজও রাস্তায় ট্র্যাফিক কন্টোলে নেমেছে শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে যানবাহনের কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা করছে তারা। যেসব গাড়িতে লাইসেন্স নেই, সেসব যানবাহন ট্র্যাফিক সার্জেন্টের মাধ্যমে মামলার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। এজন্য অনেকে গাড়ির সামনে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও কাগজ দৃশ্যমান রাখছেন।
শনিবার রাজধানীর শাহবাগ, মিরপুর ১০, মগবাজার, রামপুরা, উত্তরা, ফার্মগেট, শাহবাগ, সাইন্সল্যাব ও আসাদগেট মোড়সহ বিভিন্ন জনসমাগম এলাকায় শিক্ষার্থীদের এ কাজ করতে দেখা গেছে।
এছাড়া বিভিন্ন লেন তৈরি করে যানবাহনগুলো সারিবদ্ধ করছে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে একটি ইর্মাজেন্সি লাইনও রয়েছে। যাতে পার হচ্ছে এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ারসার্ভিসের গাড়ি।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে: সেতুমন্ত্রী
-------------------------------------------------------
এদিকে শিক্ষার্থীদের এ লাইসেন্স চেকের কারণে রাজধানীতে গণপরিবহন দেখা যাচ্ছে না। শুধু তা নয় রাস্তায় কাগজবিহীন সিএনজি ও ব্যক্তিগত গাড়ি নেই বললেই চলে।
শুধুমাত্র বিআরটিসির কয়েকটি বাস রাস্তায় দেখা যাচ্ছে। ফলে যাদের ব্যাক্তিগত গাড়ি নয় তারা পায়ে হেঁটে কিংবা রিকশায় যাতায়াত করছে।
এদিকে রাজধানীসহ দেশের প্রায় সব রুটেই বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে পরিবহন মালিক সমিতি।
বাস চলাচল ফের স্বাভাবিক হতে কতদিন লাগতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ আরটিভি অনলাইনকে বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঠিক আছে। তাদের আন্দোলনকে অন্যদিকে প্রভাবিত করার জন্য অনেক লোক ঢুকে পড়েছে। সহিংস ঘটনা ঘটার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অনেকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে ঢুকে পড়েছে। বড় ধরনের ঘটনার আশঙ্কা করছি। যদি আমরা খবর পাই যে রাস্তাঘাটে কোনও সমস্যা নেই তাহলে বাস চলাচল ফের স্বাভাবিক হবে।
গত রোববার (২৯ জুলাই) রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমানবন্দর সড়কে রাস্তায় শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে পড়ে জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় শহীদ রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম ওরফে রাজীব (১৭) এবং একই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মীম (১৬)।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রোববার থেকেই রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছে। আন্দোলনের সময় চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা করছে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে বেশ কিছু যানবাহনের ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে।
এদিকে গেলো বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যদের নিজ কার্যালয়ে নিয়ে এসে সান্ত্বনা ও সমবেদনা জানান।
এসময় নিহত দুই শিক্ষার্থীর প্রত্যেক পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে মোট ৪০ লাখ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র দেন।
আরও পড়ুন :
এমসি/ এমকে
মন্তব্য করুন