• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২২ জুলাই ২০১৮, ২০:১৪

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন- ‘প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মাদকের বিরুদ্ধে এই সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছি। আমরা জঙ্গিবাদ নির্মূলে সফল হয়েছি। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা মাদক নির্মূলেও সফল হবো।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব) নির্মিত মাদকবিরোধী বিজ্ঞাপন (টিভিসি) ‘চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’ প্রচারণার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। রবিবার (২২ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারস্থ র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে টেলিভিশন বিজ্ঞাপনটি উদ্বোধন করা হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মাদক দমন করার জন্য প্রশাসনিকভাবে আমাদের যা যা করা দরকার তা র‌্যাব ও পুলিশ ইনফোর্সমেন্ট কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু শুধু প্রশাসনিকভাবে কাজ করলে হবে না। সামাজিক ও পারিবারিক সচেতনতা তৈরি করতে হবে। এজন্যে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে র‌্যাবের পক্ষ থেকে একটি টেলিভিশন বিজ্ঞাপনচিত্র তৈরি করা হয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, মাদককে নির্মূল করতেই হবে। নইলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পথ হারাবে। এই যুদ্ধে আমাদের জয়ী হতে হবে। এই যুদ্ধ সেদিন থামবে যেদিন আমরা দেখবো সেই বাংলাদেশকে; যে বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি। নেশাখোররা ভুলেই গেছে ফেনসিডিল নামে কিছু আছে। এখন নতুন আসছে ইয়াবা। এই ইয়াবায় সব হারাচ্ছে তরুণরা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেখানেই অবৈধ ব্যবসা সেখানেই অবৈধ অর্থ, অবৈধ অস্ত্র। সুতরাং মাদক আগে নির্মূল জরুরি। সারা পৃথিবী এখন মাদক নির্মূলে সর্বাত্মক যুদ্ধে নামছে। কলম্বিয়া আর সেই কলম্বিয়া নেই। আমরাও সেই জায়গাটিতেই যাব।

র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজির আহমেদ বলেন, র‌্যাব গত ১৪ বছর থেকে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। গত এক বছরে ৫০০ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে। দশ হাজার মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। ছয় হাজার মাদক ব্যবসায়ীকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হয়েছে। সমাজ ও পরিবার এগিয়ে না এলে মাদকবিরোধী অভিযান পুরোপুরি সফল হবে না।

র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, মাদকবিরোধী অভিযান চালাতে গিয়ে আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, বাসে করে মাদক পাচার হচ্ছে। বাসের হেলপার ও সুপার ভাইজার মিলে এই মাদক পাচার করছে। এইজন্য আমরা খুব শিগগিরই বাসের মালিকদের সাথে বসবো।

তিনি আরও বলেন, কক্সবাজারে কোনও ব্যবসা নেই। মাত্র ২৩ লাখ লোকের বসবাস সেখানে। কিন্তু সেখানে মোবাইলের মাধ্যমে এতো লেনদেন হয় যে, মাদকের মাধ্যমে যে টাকা পাচার হয় তা ধরা যায় না। তাই মাননীয় মন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন তিন মাসের জন্য কক্সবাজারে সব ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং বন্ধ রাখা হোক।

এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. জামাল উদ্দিন আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি)ড. জাবেদ পাটোয়ারী।

আরসি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘স্বাস্থ্যখাতকে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন’
জয়পুরহাটে মাদকের বিরুদ্ধে ম্যারাথন দৌড় 
‘ঘুষ দিয়ে অনুমোদন নেওয়া মসজিদে নামাজ পড়া নাজায়েজ’
X
Fresh