• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রোহিঙ্গা ইস্যুতে আইসিসি’র রুলিং চায় বাংলাদেশ

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৮ জুলাই ২০১৮, ১৯:১৯

সম্প্রতি বিশ্ববাসী মিয়ানমার কর্তৃক একটি সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দেয়ার মত হৃদয় বিদারক ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে। গত বছরের ২৫ আগস্টের পর থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত প্রায় ১০লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে, যার বেশির ভাগই শিশু ও নারী। জাতিসংঘ ঘটনাটিকে জাতিগত নিধন ও গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। বললেন, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

তিনি মঙ্গলবার নেদারল্যান্ডস-এর হেগে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (আইসিসি) আয়োজিত ‘এনডিউরিং ভেল্যু অব দ্যা রোম স্ট্যাটিউট টু হিউম্যানিটি’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবসানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত ও কার্যকর ভূমিকা প্রয়োজন। এছাড়া সক্রিয় সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ আইসিসি’ র কাছে বলপূর্বক রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করানোর কারণে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রুলিং প্রত্যাশা করে।

তিনি বলেন, মিয়ানমার আইসিসির সদস্যভূক্ত নয় কিন্তু বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই এ সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি আইসিসির প্রি- ট্রায়াল চেম্বার-১-এ উপস্থাপন করেছে।

আজ সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী আরও বলেন, বাংলাদেশ সার্বজনীন রোম সনদের গুরুত্বকে স্বীকার করে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সকল লক্ষ্য অর্জনে অব্যাহতভাবে সমর্থন করে যাচ্ছে। অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে বিশ্ববাসীর সাথে বাংলাদেশ সহযাত্রী হবে।

স্পিকার বলেন, এই সিম্পোজিয়াম কেবলই উৎসব নয় বরং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। তিনি বলেন, বাংলাদেশ গর্বিত, কারণ আন্তর্জাতিক ফৌজদারী আদালত সৃষ্টিতে এবং রোম সনদ গ্রহণের সূচনালগ্নে প্রচার-প্রচারণায় বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশ সকল প্রকার বিচারহীনতা, যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh