• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

তিন শীর্ষ সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে ফরহাদ আলী খুন, গ্রেপ্তার ৫

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৪ জুলাই ২০১৮, ১৭:২৮

এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, অটোরিকশা স্ট্যান্ড ও ডিস ব্যবসায়ীদের থেকে চাঁদা আদায়ের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে স্থানীয় কোন্দলের কারণে খুন হন রাজধানীর বাড্ডার আওয়ামী লীগ নেতা ফরহাদ আলী। শীর্ষ সন্ত্রাসী রমজান, মেহেদী কলিন্স ও আশিক (প্রত্যেকে বিদেশে পলাতক) হত্যার পরিকল্পনা করেন।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং-এ এই তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ আবদুল বাতেন পিপিএম।

তিনি বলেন, আশিক ও মেহেদীর ম্যানেজার তথা সামরিক কমান্ডার হিসেবে দেশে কাজ করতেন অমিত। অমিতের অধীনে বেশ কয়েকজন বেতনভুক্ত খুনি রয়েছে। যাদের প্রতি মাসে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা বেতন দেয়া হতো। এছাড়া এ গ্রুপের শীর্ষ কয়েকজন সন্ত্রাসী ফ্রান্স ও সুইডেনে পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।

তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন আগে রমজান ভারতে চলে যায়। রমজান তার আপন ছোট ভাই সুজন এবং অপর দুইজন সহযোগী জাকির ও আরিফের উপর হত্যাকাণ্ড সংঘটনের দায়িত্ব দেয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ১৫ জুন সকালের দিকেই অমিতসহ শ্যুটাররা উত্তর বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে সমবেত হয়। অমিতের নির্দেশনা মাফিক সিদ্ধান্ত হয় নুর ইসলাম, অনির ও সৌরভ মূল কিলিং মিশনে অংশ নেবে। আর অমিতের সাথে ব্যাকআপ হিসেবে থাকবে সাদ (সাদমান)।

তিনি বলেন, আনুমানিক বেলা ১২টার দিকে রমজানের ছোট ভাই সুজন কিলিং মিশনে অংশগ্রহণকারী তিনজন শ্যুটার ও ব্যাকআপ সাদকে জাকিরের সাথে অস্ত্র গ্রহণের জন্য একটা রিকশা গ্যারেজে পাঠায়। চারজনকেই অস্ত্র বুঝিয়ে দেয় শীর্ষ সন্ত্রাসী মেহেদীর অন্যতম আস্থাভাজন পুলক (পলক)। এরপর জাকির তাদেরকে নিয়ে আরিফের কাছে পৌঁছে দেয়। পরিকল্পনা মাফিক আরিফ শ্যুটারদেরকে মসজিদের কাছে নিয়ে গিয়ে বাইরে থেকে ফরহাদকে চিনিয়ে দেয়। নামাজ শেষে ফরহাদ মসজিদ থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই শ্যুটাররা জনসম্মুখে উপর্যুপুরি গুলি করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে শ্যুটাররা তাদের অস্ত্রগুলো শীর্ষ সন্ত্রাসী মেহেদীর সামরিক কমান্ডার অমিতের কাছে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য পল্লবী এলাকায় যায়। সেখানে অমিত তার অপর সহযোগী সুজনের মাধ্যমে অস্ত্রগুলো গ্রহণ করে। এ হত্যাকাণ্ডে অমিত তাৎক্ষণিকভাবে এক লাখ টাকা শ্যুটারদের মাঝে বণ্টন করে। হত্যাকাণ্ডের পরপরই দেশ ত্যাগ করে রমজানের ছোট ভাই সুজন।

ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা উত্তর বিভাগ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বাড্ডার আওয়ামী লীগ নেতা ফরহাদ আলী হত্যা মামলার মূলহোতাসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গত ১৩ জুলাই গুলশান ও মিরপুর শাহআলী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪টি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪টি ম্যাগজিনসহ ১২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. জাকির হোসেন, মো. আরিফ মিয়া, মো. আবুল কালাম আজাদ অনির, মো. বদরুল হুদা সৌরভ ও মো. বিল্লাল হোসেন রনি।

উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই মধ্যরাতে গোয়েন্দা পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে অজ্ঞাতনামা দুই যু্বক নিহত হয়। পরবর্তীতে যাদের পরিচয় জানা যায় ফরহাদ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম শ্যুটার। ভিডিও ফুটেজে লাল গেঞ্জি পরিহিত নুর ইসলাম ও শীর্ষ সন্ত্রাসী মেহেদীর সামরিক কমান্ডার অমিত।

আরসি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসীর মালয়েশিয়ায় মৃত্যু
হাটহাজারীতে অস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী সালাহউদ্দিন গ্রেপ্তার
শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান গ্রুপের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার
সন্ত্রাসী ‘পুইট্টা রাজু’কে কুপিয়ে হত্যা
X
Fresh