রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে আন্তর্জাতিক সমর্থন দরকার: অর্থমন্ত্রী
বাংলাদেশের জন্য এই ‘কঠিন সময়ে’ জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ও বিশ্বব্যাংকের প্রধান জিম ইয়ং কিমের সফরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
তিনি বলেছেন, এটা আসলেই কঠিন। কারণ বাংলাদেশের মানুষেরও এক সময় অন্য দেশে ‘শরণার্থী’ হওয়ার সুযোগ হয়েছিল; যেটা আমরা কখনও ভুলবো না। এখন আমরা মুক্ত হস্তে শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছি।
আজ রোববার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক করেন জিম ইয়ং কিম। বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখতে দুই সংস্থার প্রধান দুই দিনের সফরে গতকাল শনিবার ঢাকায় পৌঁছান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন চাই- সম্মানজনকভাবে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে। এজন্য দরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন।
সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে পালিয়ে আসা কয়েক লাখ রোহিঙ্গা কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এরপর গতবছর আগস্টের শেষ দিকে রাখাইনে সেনাদের দমন-পীড়নে আরও প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
জাতিসংঘ মিয়ানমারের এ অভিযানকে ‘জাতিগত নিধন’ বলে আখ্যা দেয়। এশিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে এ ঘটনাকে সবচেয়ে বড় শরণার্থী সমস্যা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বৈঠকের সময় রোহিঙ্গা সংকটের সময় তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানান বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে মহাসচিব (জাতিসংঘ) ও আমি এখানে এসেছি। কারণ তারা এত বিপুল সংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছেন। আর তারা এটা করেছেন খুবই মানবিক এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে।
বিশ্বব্যাংক প্রধান বলেন, আমরা বলতে চাই না- শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষকেও অন্য দেশে শরণার্থী হতে হয়েছিল। সেটা কখনও ভোলার নয়।
রোহিঙ্গাদের জন্য বিশ্বব্যাংক সম্প্রতি ৪৮ কোটি ডলার সহায়তার ঘোষণার কথাও বলেন আন্তর্জাতিক এ ঋণদাতা সংস্থার প্রেসিডেন্ট।
এসআর
মন্তব্য করুন